সিলেটের বিশ্বনাথের মোহাম্মদ আকমল হোসাইন ইউরোপের দেশ পর্তুগালে দেশের সেরা ৩য় রেমিট্যান্সযোদ্ধা নির্বাচিত হয়েছেন। ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে আকমলকে রেমিট্যান্স সম্মাননা সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা কার্ড প্রদান করেন পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।

উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের দশদল গ্রামের মৃত আব্দুল গণি’র পুত্র মোহাম্মদ আকমল হোসাইন বিগত ১৩ বছর পূর্বে নিজের স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে পাড়ি জমান ইউরোপের দেশ পর্তুগালে। পর্তুগালের লিসবনে কর্মস্থল গড়ে তোলা আকমল মাত্র ১৩ বছরেই হয়ে উঠেছেন দেশের সেরা রেমিট্যান্সযোদ্ধার একজন।


এ বছর পর্তুগাল থেকে অর্জিত টাকা দেশে বৈধভাবে পাঠিয়ে তিনি হয়েছেন দেশের ৩য় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রদানকারী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ৩য় রেমিট্যান্সযোদ্ধা হিসেবে আকমলকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করেছে পর্তুগাল দূতাবাস।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, প্রথমবারের মত পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য রেমিট্যান্স সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এবার আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই করে বৈধপথে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ১০ জনকে স্বীকৃতি দিয়ে সম্মাননা প্রদান করে দূতাবাস।

এই ১০ জনের মধ্যেই ৩য় সেরা হয়েছেন বিশ্বনাথের তরুণ মোহাম্মদ আকমল হোসাইন।
এ বিষয়ে আকমল হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র আহবানে সাড়া দিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমেই আমি দেশের সেরা ৩য় রেমিট্যান্স প্রেরণকারী নির্বাচিত হয়েছি।

আমাকে সম্মাননা ও স্বীকৃতি প্রদান করায় আমি পর্তুগালে অবস্থানরত সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ দূতাবাস’কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এই সম্মাননা ও স্বীকৃতি দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে সকল প্রবাসীদেরকে আরোও উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।