সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চরনারচর ইউপি চেয়ারম্যান'র পরিতোষ রায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে  ইউনিয়ন মুক্তি যোদ্ধা সংসদ ও এলাকাবাসী।
 

বুধবার দুপুর ২ টার দিকে চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
 


প্রভাষক মোস্তাহার মিয়া মোস্তাকের সঞ্চালনায় মুক্তিযোদ্ধা গনেশ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল দাস, গণেশ দাস, সজল রায়, জহিরুল ইসলাম, রুবেল মিয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মিয়া, ইউপি সদস্য ফতেনুর মিয়া, খোকন মিয়া, মহেশ দাস, তাপস রায়, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য প্রমিলা দাস, প্রিয়বালা দাসসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশা জনগন।
 

বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় একজন শিক্ষিত মার্জিত সজ্বন ব্যাক্তি হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। পরিষদের দুয়েক জন সদস্য নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে গত নির্বাচনে পরাজিত বলয়ের ইন্দনে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
 

সোমবার ইদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ উপহার বিতরনের দিন পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় তিন জন ইউপি সদস্য চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যানের সাথে হট্টগোল শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।ট্যাগ অফিসার ইউপি চেয়ারম্যান ও সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে চাল বিতরণ করা হয়।
 

এ ব্যপারে ট্যাগ অফিসার উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী উজ্জল খান জানান, আমি চাল বিতরণ শুরুর পূর্বে চাল বুজে নেওয়ার আগেই দুইজন ইউপি সদস্য ও তার লোকজন চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে দুইশত বস্তা চাল আত্মসাৎ'র অভিযোগ এনে তুমুল চেচামেচি শুরু করে। কিন্তু আমি চালের বস্তা গননার আগেই তারা কিভাবে ২ শত বস্তা চাল আত্মসাৎ হলো সেটা আমার বোধগম্য নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা ইউএনও স্যারের সহযোগিতা কামনা করি। এবং ইউএনও স্যার দ্রুতসময়ে ঘটনাস্থলে আসলে চাল বুজে নেই। এবং উনার উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ সম্পন্ন করি। যা মাষ্টাররুলে সংরক্ষিত আছে। ইউপি চেয়ারম্যান পরিতোষ রায় জানান,চাল উত্তোলনের আগে আমি প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করি। তারা শুক্রবার দিরাই খাদ্য গোদাম থেকে চাল এনে ইউনিয়ন পরিষদের গোদামে সংরক্ষণ করেন। শ্রমিক সংকটের কারনে ৭০ বস্তা চাল নৌকা থেকে উঠানো সম্ভব হয়নি। তাই ৭০ বস্তা চাল নৌকায় রয়ে যায়। চাল বিতরণের দিন নৌকার চাল উঠাতে গেলে দুই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন বাঁধা দেয়। এবং চাল লুটের পায়তারা করে। এসয় আমি মোবাইল ফোন ইউএনও মহোদয়ের শরনাপন্ন হই। খবর পেয়ে তিনি ইউপি পরিষদে আসেন,এবং উনার উপস্থিতিতে সকল ভোক্তাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেই। অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা তাদের ওয়ার্ডের সকল সুবিধাভোগীরা ঈদ উপহার পেয়েছেন বলে যে মাস্টার রুল তৈরী করা হয়েছে সেখানে সকল ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে।
 

চাল বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি দাবী করে চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগকারী ইউপি সদস্য ও ইন্দনদাতারা তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা বানোয়াট অপবাদ রটাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/হিল্লোল/এসডি-০৯