ঈদ মানেই আনন্দ আর ফুর্তি। শুধু আনন্দ নয় মহাউৎসবও। এক মাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করছেন ঈদুল ফিতর।
 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ যেন ডালি ডালি খুশির বার্তা নিয়ে আসে। তারই আবাহনে আজ ঈদের সকালে সবাই নতুন পোশাক পরেছে। শিশুদের চোখমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তারা সবাই তো এই দিনটিরই প্রতীক্ষায় ছিল গত এক মাস। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ ২১ এপ্রিল শুক্রবার। ঝলমল রোদ্দুর ও বসন্ত প্রকৃতির রঙে রঙিন হয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি প্রবাসী বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সমবেত হন ঈদের জামাতে।


ইসলামি রীতি অনুযায়ী রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতটি হয় সকাল ৯টায় ভানতার কনতুলায়। এতে ইমামতি করেন বশির আহমেদ।
 

সকাল ৯ টায় অপর জামাতটি অনুষ্ঠিত হেলসিংকির কাল্লিওতে। এতে ইমামতি করেন হেলসিংকির দারুল আমান মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস খান।

ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। হেলসিংকির সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুটিতে অংশ নেন।

ঈদ জামাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লিমন চৌধূরী, মোঃ কামরুল আলম কমল, নাজমুল হুদা, নাসির খান, মাহবুবুল আলম, জহির শিকদার, জামান সরকার, মবিন মোহাম্মদ, মাইনুল ইসলাম, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, আতাউর রহমান খান, আবদুল হাই আল হাদী, জিতু, নাজমুল হাসান লিটন, আবুল কালাম আজাদ শহিদুল, লাবীব, তাসিন, ফাহমিদ উস সালেহীন, সামিউর রাশেদীন ফাহাদ, রিহাব, মাহিন চৌধূরী, সালেহ আহমেদ, বাদল হোসেন মাসুদ,পারভেজ আহমেদ আনিস, রুহেল ছোট, হাসান, রফিকুল ইসলাম রানা, মহিবুল ইসলাম,আবু দারা বাবু, আকরাম, সাইফুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, আলটন মঈন, ফাতা মিয়া, বেলাল আহমেদ, আবদুল আলী, জাহিদ হাসান রকি, নুর আলম, ইমাম হোসেন, সোয়েব আহমেদ, লাবলু আহমেদ, কামরান আহমেদ, শেরওয়ান আহমেদ, এরশাদুর রহমান, রাইয়ান আহমেদ, রুমেল আহমেদ, গোফরান আহমেদ, সমাসরুর রহমান রাব্বি, উজ্জল, মাসুম, সোহাগ, জুবায়ের, রবিউল, এমরান, তপন, রুবেল, আসলাম, রিপন, রায়হান, শরিফুল, নুরুল আলম, এমদাদ হোসেন, শিপু, রুবেল, কুদ্দুস, মাহিব, রায়ান,আরিয়ান, জাইয়ান, রাফান, কলি, মনি, সান্তা, লিজা প্রমুখ।

বরাবরের মতো এবারও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া। মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে তিন–চার দিন চলতে থাকে।
 

মোটকথা মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালোবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরস্পর ভাগাভাগি করছেন আনন্দ। সুযোগ মতো ফোন, ফেসবুক, ওয়াটাস আপ, ভাইবার, ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য, কেউ সন্তানের কচি মুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদযাপন করছেন ঈদকে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/মনির/এসডি-০৬