পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
 

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় মঙ্গলবার (৯ মে) তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভেতর থেকে হেফাজতে নেয় রেঞ্জার্স সদস্যরা।
 


পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিন একাধিক মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান। সেখান থেকে তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে একটি কালো গাড়িতে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
 

ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. আকবর নাসির খান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
 

জিও নিউজের খবর অনুসারে, পিটিআই চেয়ারম্যান হাইকোর্টে বায়োমেট্রিক করতে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকে গ্রেফতারের পরোয়ানা ছিল এনএবি কর্মকর্তাদের কাছে।
 

ইমরান খানের বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি করেছেন এনএবি চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নাজির আহমেদ বাট।
 

জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় জবাবদিহি অধ্যাদেশ ১৯৯৯-এর ৯এ ধারার অধীনে হেফাজতে নেওয়া হয়।
 

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির পাঁচ হাজার কোটি রুপি বৈধ করার জন্য কয়েকশ কোটি রুপি নিয়েছেন পিটিআই প্রধান ও তার স্ত্রী।
 

হাইকোর্টের আদেশ
ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর বিষয়টি আমলে নেন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক। তিনি ‘১৫ মিনিটের মধ্যে’ ইসলামাবাদের আইজি এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে আদালতে উপস্থিত হতে বলেন।
 

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ১৫ মিনিটের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি এবং অবিলম্বে ইমরানকে গ্রেফতারের পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।
 

প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি তদন্ত করতে হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের বলুন, (ইমরানকে) কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে?
 

ইসলামাবাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল তখন আদালতের কাছে ১৫ মিনিটের পরিবর্তে নির্ধারিত সময় আধা ঘণ্টা করার অনুরোধ জানান। তবে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।


 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১৭৫


সূত্র : জাগোনিউজ