দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর পথেই হাঁটছেন সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর পরই দলের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

শনিবার (২০ মে) বিকেলে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভায় বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে ভোট থেকে সড়ে দাঁড়ান সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। এরআগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের চার বারের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।


সিলেট মহানগর বিএনপি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে ছিলেন এমন ১০-১২ জন নেতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গতকাল শনিবার নগরীর ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিএনপি নেতা আমির হোসেন প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন অন্তর্ভুক্ত টুকেরবাজারের একটি ওয়ার্ডরে সম্ভাব্য প্রার্থী সিলেটে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাব হোসেন সুমন নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন। ২২ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিনও প্রার্থী হচ্ছেন না।  এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবেন বলেও  সিলেট মহানগর বিএনপির এই সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী সিলেটভিউকে বলেন, এই সরকারের অধীনে আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী অংশ নিবে না। যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তারা আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবে। বিএনপিতে থাকার কোনো অধিকারই তাদের থাকবে না।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/কেআইএম