সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দরিদ্র সুফল ভূগীদের মধ্যে বিনামূল্যে মুরগির ঘর, হাঁসের ঘর এবং মুরগী প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫শ' সুফল ভূগী যারা আগে মুরগির ঘর পেয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ৪শ' জনকে ১৫টি করে মোট ৬ হাজার মুরগি ও ১শ' জনকে ২টি করে মোট ২শ'টি ভেড়া প্রদান করা হয়।

 


বুধবার (২৪ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মুরর্শেদ মিশুর সভাপতিত্বে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানবীর আশরাফী চৌধুরী বাবু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শাহিন মিয়া, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ প্রমূখ।

 

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেওয়ান আল তানবীর আশরাফী চৌধুরী বাবু বলেন, সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিতকরণ ও বেকার সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে জনগণের অথনৈতিক উন্নয়ন সাধনে গৃহপালিত প্রাণি অনতম উপকারী। হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে সহজে অভিযোজিত হতে সক্ষম। সুতরাং অত্র এলাকা ও তৎসংলগ্ম হাওর অঞ্চলে হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া পালন হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস। কিন্তু অত্র এলাকায় এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে পশুপালন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন দক্ষতা কোনোটিই সন্তোষজনক নয়। রোগের প্রাদুর্ভাব, অনুন্নত প্রযুক্তি, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনার অভাব, নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও কারিগরি সেবা, অপর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞান, খামারী ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা হাওর অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রধান অন্তরায়।  সার্বিক বিবেচনায় এই এলাকার প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে  বিরাট একটি সুযোগ রয়েছে। যদিও সাময়িকভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ক্ষুদ্র পরিসরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/নাজাত