সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। স্বচ্ছ কাচের দুয়ার ঠেলে প্রবেশ করতেই বাহির-ভিতর জুড়িয়ে দিলো ঘোরলাগা এক পরিবেশ। বড় কক্ষের এখানে-ওখানে ছিটকে পড়ছে নানা রঙের কোমল-মোহনীয় আলো। বাদ্যযন্ত্রে আওয়াজ টুং-টাং। চারদিকে আবেশি সুরের মূর্ছনা। একঝাঁক পাখির কিচির-মিচির, তাদের সামলাতে ব্যস্ত সঙ্গে আসা বড়রা।


কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই, নেই অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। পরিবারের একজনের গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে শুরু হলো উৎসবে মেতে উঠার ক্ষণগুলো। ছোটদের কবিতা আবৃত্তি, বড়দের গান, ধামাইল (নৃত্য), খেলা, র‍্যাফেল ড্র, ভোজন, পুরস্কার বিতরণ, হৈ-হুল্লুড় আর আনন্দ-আড্ডায় চোখের পলকে কেটে গেলো সন্ধ্যারাত। একসময় খুললো মধ্যরাতের ঝাঁপি। ফিরতে তো হবে ঘরে। গভীরের দিকে গড়ানো দুপুররাতে মূর্ছিত হলরুমে একরাশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে স্ত্রী-সন্তান-স্বজনদের নিয়ে ফেরা হলো নীড়ে। 



সেই রাত অনেকদিন জেগে থাকবে মানসপটে, যে রাত ছিলো একান্ত আমাদের। সেই ক্ষণগুলো ছিলো একান্তই আমাদের প্রাণের প্রিয় সংগঠন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের।


শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অস্তিত্বজুড়ে একাত্তর’ মন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত ও পথচলা সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের ‘পরিবার উৎসব।’ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত পার্টি সেন্টারে আয়োজিত ‘পরিবার উৎসবে’ জেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে আয়োজনস্থল মুখর করে তুলেন। ‘পরিবার উৎসবে’ সংগীত পরিবেশন করেন জেলা প্রেসক্লাবের অনেক সদস্য ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা। শিশুরা করেন কবিতা আবৃত্তি। আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে আসা সিলেটের কয়েকজন প্রখ্যাত শিল্পীও সংগীত পরিবেশন করেন।  প্রেসক্লাব সদস্যদের স্ত্রীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বিনোদনমূলক ‘বালিশ খেলা’। পরে হয় র‍্যাফেল ড্র। সবাই মিলে রাতের আহার করেন আনন্দ-আড্ডায়। সব শেষে বিতরণ করা হয় সকল ইভেন্টের পুরস্কার।


অনুষ্ঠানজুড়ে প্রাণবন্ত সঞ্চালনা করেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল। সবশেষে সভাপতির বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী।


এর আগে শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয় সিলেট বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সবচেয়ে বড় সাংবাদিক-সংগঠন জেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম