রোজা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। ঈমান, নামাজের পর সুস্থ, স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ সবার জন্য বাধ্যতামূলক ইবাদত হলো রমজান মাসের রোজা। প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পাহানার, স্ত্রী সহবাস, কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিধি-নিষেধ থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলা হয়।
 

৩০ দিন রোজা বা সিয়াম সাধনার পরে আসে ঈদুল ফিতর যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। রমজান শেষে পুরো বিশ্বের মুসলমানের ঈদ পালন করেন।
 


২০২৪ সালের রমজান শুরু হয়েছে ১২ মার্চ। সেই হিসেবে রমজান শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০২৪ সালে ঈদুল ফিতর পালিত হবে ১০ অথবা ১১ এপ্রিল। রমজান ২৯ দিনের হলে ঈদুল ফিতর পালন করা হবে ১০ এপ্রিল। আর রমজান ৩০ দিনের হলে ঈদুল ফিতর পালন করা হবে ১১ এপ্রিল।
 

রমজান, ঈদ, হজ, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ, আশুরার দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাস শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। এখানে ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত সরকারি ছুটির সম্ভাব্য তারিখের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরা হয়েছে।
 

রমজানে পুরো মাস রোজার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ইবাদত পালনের পরে আনন্দ উদযাপন করা হয় ঈদের মাধ্যমে। ঈদের উৎসব এবং আনন্দ-উদযাপনের ব্যাপারে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, তখন তিনি দেখলেন সেখানে আগে থেকে বসবাস করা মানুষেরা বছরে দুইটি বিশেষ উৎসব পালন করছে (গান-বাজনা, ঢোল-তবলা বাজিয়ে)।
 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উৎসব পালনের এই রীতি অপছন্দ করলেন এবং তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এই দুই দিনে তোমরা কিসের উৎসব পালন করো?
 

উত্তরে তারা বললো- আমরা জাহেলিয়াতের যুগে এই দুটি দিনে খেলাধুলা, আনন্দ ফুর্তি করতাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে এই দুইটি দিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন, এর একটি হল ঈদুল ফিতর, অপরটি হলো, ঈদুল আজহা।’(আবু দাউদ, হাদিস, ১১৩৪)


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এনটি