মৌলভীবাজারের রাজনগরে একই স্থানে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ পাল্টাপাল্টি ঈদ পূনর্মিলনীর আয়োজন করেছে। উপজেলা নির্বাচনের আগে এমন ঘটনায় হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনগরের রাজনীতির মাঠ।
 

আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করে উভয় পক্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে ইউএনওকে চিঠি দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা কমিটির দুই সদস্যসহ অনেক সাধারণ মানুষ।


এদিকে গতকাল বিকাল ৬টার সময় হল ব্যবহারের অনুমতি স্থগিত করেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা।
 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার (আগামীকার) ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার জন্য রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত রাজনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও উপজেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস হলরুমের জন্য আবেদন করেন। দুটো ভেন্যুই পাশাপাশি। উভয়টির অনুমোদনও দেয় হয়েছে উতোমধ্যে। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি হিসেবে তোরণ নির্মাণসহ আয়োজনও চলছে।
 

কিন্তু একইদিন উপজেলা পরিষদের মাল্টিপারপাস হলরুমে ছাত্রলীগ-যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে ঈদ পূনর্মিলনী করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ময়নুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির ফৌজি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাম্মু ও রাজনগর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ খান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের একইদিনে একই স্থানে আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় নানা আলোচনা চলছে রাজনগরের রাজনীতি নিয়ে।

দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার শঙ্কায় উভয়পক্ষের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করেছেন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ফয়ছল আহমদ ও সাদিকুর রহমানসহ স্থানীয় অনেকে।
 

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুইপক্ষই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থন করছে। তাই এই ঈদ পূনর্মিলনী মূলত নির্বাচনী প্রচারণা সভা হবে। ফলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে একইদিনে একই স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজন করায় নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কোনো প্রভাব পরবে কিনা এবং মাল্টিপারপাস হলরুম ব্যবহারের অনুমতির ব্যাপারে সার্বিক মতামত চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পত্র পাঠিয়েছেন।

তবে একটি সূত্র জানেিয়ছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে উভয় অনুষ্ঠান স্থগিত করার জন্য বলা হয়েছে।
 

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, এব্যাপারে মতামত জানতে ইউএনম মহোদয় চিঠি দিয়েছিরেন। যেহেতু নির্বাচনের তফশীল হয়ে গেছে তাই আইনশ্ঙ্খৃলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও তফশীর ঘোষণার পর সমাবেশ করা নিষিদ্ধ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে হল অনুমোদন স্থগিত করেছি। ভিন্নস্থানে সমাবেশ করতে হরে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। অন্যতায় সমাবেশ করা যাবে না।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/সোহেল/এসডি-১৭৬১