সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

 


জানা গেছে, ২০২৩—২৪ অর্থ বছরে গ্রামিণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা ও টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের রাস্তা 'পুনঃ নির্মাণ প্রকল্প” এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কাজ শেষ করার কথা চলতি সনের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন নামমাত্র আংশিক কাজ করে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন দেখান। সম্প্রতি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেন ইসলামপুর গ্রামের শামছু মিয়া। 


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষীপুর ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন গ্রামিণ সংযোগ রাস্তা কাম বেড়িবাঁধ নির্মাণে নামমাত্র মাটি কেটে  বরাদ্দকৃত অর্থের পুরোটাই আত্মসাৎ করেন। তাই চলমান কাজ বন্ধ রাখায় গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সংশ্লিষ্ট মেম্বার মনোয়ার হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে বরাদ্দ নেই বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান তিনি।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আম্বিয়া আহমদ জানান, ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে তাকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া  সরজমিন পরিদর্শন করে কাজ সন্তুষ্টজনক না হওয়ায় তাকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ মধ্যে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন না হলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। 

 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার কাজ চলমান আছে।


উল্লেখ্য, অর্থবছর ২০২১- ২০২২ ইং প্রথম পর্যায়ের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পে ১ লক্ষ ৪০ হাজার উন্নয়নকাজ করতে ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনকে সভাপতি করে পিআইসি গঠন করা হয়। কিন্তু কাজ না করে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা ও গম আত্মসাৎ করা হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে পৃথক অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের চকিরঘাট গ্রামের নজরুল ইসলাম সাগর। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মনোয়ার হোসেন পৃথকভাবে সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রকল্পের অবশিষ্ট অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ।

 

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / তাজুল / মাহি