কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম (২৮) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার চাঁনপুরে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তার মৃত্যু হয়। শাহ আলম নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে। এ সময় পুলিশ তার কাছে থাকা ৭.৬৫ মডেলের একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বলেন, বুধবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালায়। উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়।


তিনি বলেন, পরে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পিস্তল হাতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাকে শাহ আলম বলে শনাক্ত করে। উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শাহ আলমের লাশ কুমিল্লা মেডিক্যালে রয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাতে একই মামলার ৩ নম্বর আসামি সাব্বির রহমান (২৮) ও ৫ নম্বর আসামি সাজন (৩২) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় কাউন্সিলরের নিজ কার্যালয়ে সোহেলসহ সাত জন দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন। রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ মারা যান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিটি-২