বন্ধুহীন নিঃসংগ জীবনে, বেঁচে থাকে শুধু অবসন্ন এক কায়া,

সারাটা মন জুড়ে চলে অবিশ্রান্ত কথার পরিযায়া;
মস্তিষ্কে নিয়ত চলে অশান্ত কথার মিছিল,
কথার কষ্ট মনটিকে করে দেয় অশান্ত পিছিল;
কথার শক্তি, প্রতিক্ষণে, প্রতিমনে নিনাদে যে অবিরাম,
চীৎকারে, নির্গমনের সূচী চায় বাতাসে, ফুঁসে উঠে ক্ষুদিরাম;
হৃদয়ে, কথার সংগ্রাম হয়ে উঠে আন্দোলনের অবিশ্রান্ত মিনার,
অন্তরে আলোড়নে বেড়ে উঠে সন্ত্রাসী চাবুকের শীর্ণ কিনার।


কখনোবা চিত্ত ক্ষুব্ধ হয়ে, সমর্পনে বিষণ্ণতার আঁধারে,
জমে থাকা কথার শক্তি অফুরন্ত, সুযোগ খুঁজে দিগন্তে যাবারে;
স্তূপীকৃত কথা, কখনোবা ঘুমিয়ে থাকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরির খামারে,
কখনোবা জেগে উঠে, অগ্নিশিখার দাবদাহে উত্তপ্ত লাভার বিতরণে;
কখনোবা নিরুদ্ধ কথা, হয়ে উঠে শ্লোগানের অনিন্দ্য কহনে,
দুরন্ত বিদ্রোহ, বিপ্লব, হয়ে উঠে অশান্ত, অস্থির সমাজের দুরন্ত বাহনে
নিরুদ্ধ কথার অন্তর দহনে, জলে উঠে আগুন কষ্টের অশান্ত শিখরে
কখনোবা ব্যাথিত প্রাণ হয়ে পড়ে, নিস্তব্ধ নিথর অন্তর দহনে।

জগতে বন্ধুত্ব্বের পরিধি বিস্তৃত, অপার,
কখনোবা বন্ধু হয় সহপাঠী, কখনোবা সহযোগী, কখনোবা সহধর্মী সুখী সংসার
কখনোবা সহকর্মি কিংবা সহমর্মি অনিবার।
কখনোবা বন্ধু হয় পিতা, মাতা, সন্তান, আত্নিয়, স্বজন পরিবার।
কখনোবা গুরু-শিষ্য-পুরোহিত, ইমাম-পূজারি-ঠাকুর বেশুমার;
হে মানুষ, তোমার জগতে খুঁজে নাও বন্ধু আপনার,
উড়িয়ে দাও মনের গভীরে থাকা কথার ধুন্দুমার।
সমাজ হয়ে উঠুক মুক্তচিন্তা, মুক্তকণ্ঠ, মুক্তলিখনীর আধার।।


লেখক: চিকিৎসক ও কবি।