নিখোঁজের একমাস পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে বিউটি বেগম নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ওই গ্রামের প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের বিউটি বেগম স্বামী পরিত্যাক্তা। তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।


একটা সময় তার সঙ্গে ক্ষেতলালের শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ এপ্রিল রাতে প্রেমের টানে বিউটি পূর্বপাড়ায় উজ্জলের  বাড়িতে আসেন। রাতে উজ্জল তাকে ধর্ষণ করেন। এ অবস্থায় বিউটি বিয়ের চাপ দিলে উজ্জল রাতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে পুঁতে রাখেন। সেই থেকে বিউটি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগের পর বগুড়া জেলা পুলিশ নিহতের হারানো মোবাইলের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উজ্জলকে গ্রেপ্তার করে। উজ্জলের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিখোঁজের এক মাস ৭ দিন পর শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে বগুড়া ও ক্ষেতলাল থানা পুলিশ গৃহবধূ বিউটি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতিতে শিবপুর গ্রামের উজ্জলের বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ বিউটির খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় বগুড়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলামসহ একদল ডিবি পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।  

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী জানান, পুরো অভিযান বগুড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। স্থানীয় থানা হিসেবে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/জিএসি-০৪


সূত্র : কালের কণ্ঠ