সিলেট'র জৈন্তাপুর উপজেলায় ১৫ জুন ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের উপ-নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীগণ ফলাফল প্রত্যাখান করে সরকারী গেজেট স্থগিতাদেশ চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুনরায় আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানান।

 


বুধবার দুপুর ২টায় জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলণে নিবার্চনে সদস্য পদে প্রার্থী মোঃ ফারুক আহমদ লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে অংশ গ্রহনকারী ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিনী প্রার্থীর পক্ষে ফলাফলের সরকারি গেজেট স্থগিতাদেশ'র দাবী জানান।

 

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে নিবার্চন কমিশন সচিব বরাবরে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। যার ডকেট নম্বর ১৫৩৮৬, তারিখ-২৬ জুন২০২২ইং। এতে বলা হয়, নিবার্চনের ফলাফল স্থগিত চেয়ে তিনিসহ তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ মতিন মিয়া ১৫ জুন ভোটের দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-বশিরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা আবুল হাসানাত এবং আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার'র নিকট পৃথক ভাবে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন।

 

এ ওয়ার্ডের দু'টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের জন্য সেন্টার নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭৯ জন। পুরুষ ১ হাজার ৮৩জন, মহিলা ৯ শত ৯৬ জন।

মোকামবাড়ি সরকারী প্রাথিমক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১ শত ৬০জন, আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৯ শত ১৯জন ভোটার রয়েছে।

১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দিনে আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এতে  ভোটারগণ ভোট দিতে পারেন নাই। এ কেন্দ্রে মোট ৯ শত ১৯ জন ভোটারের মধ্যে মোট ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে মাত্র ১৬টি। 
মোকামবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  পাহাড়ী এলাকায় হওয়ায় এই কেন্দ্রে ৮ শত ২৬ টা ভোট কাস্টিং হয়েছে।

নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখান করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ ফারুক আহমদ ও  মোঃ মতিন মিয়ার পক্ষে পৃথক ভাবে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল।

এতে উল্লেখ্য করা হয়েছে ১নং ওয়ার্ডের উপ- নির্বাচনে আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের আওতাধীন ১নং লক্ষীপুর গ্রামের মানুষের বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এবং ভোট কেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কেউ ভোট দিতে আসেনি।
ভোটের দিন সকাল ৯ টার সময় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে কেন্দ্র পরিদর্শন কালে প্রার্থীর এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহন কাজ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান।

 

প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ভোট স্থগিত রাখার বিষয়ে মৌখিক ভাবে প্রার্থী ও জনসাধারণকে আশ্বাস দেন। কিন্তু রাতে উপজেলায় রিটানিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল ঘোষনা করা হয়, এতে দেখা যায় প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক এ সেন্টারে ১৬টি ভোট কাস্টিং হিসাবে দেখানো হয়েছে। যেখানে কেউ যেতে পারেনি সেভানে ১৬ টি ভোট কাস্টিং হলো কিভাবে, এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য করা হয়েছে যে, আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে লিখিত বা মৌখিক ভাবে না জানিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার পার্শ্ববর্তী রাংপানি ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত জনবল নিয়ে তিনি আশ্রয় নেন।

ভোটের দিনে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় তিনি সারাদিন সেখানে অবস্থান করেন। রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে এই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী প্রার্থীগণ প্রতিবাদ জানান।

আসামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এই কেন্দ্রের ভোট গ্রহনের ফলাফল স্থগিত ও ফলাফলের সরকারী গেজেট স্থগিতাদেশ রাখতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ নির্বাচন কমিশন সহ প্রশাসনের নিকট আহবান জানিয়েছে।

 

সংবাদ সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্য পদ প্রার্থী মোঃ ফারুক আহমদ, মোঃ মতিন মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, কাশেম আলী, কামাল উদ্দিন, সুবজ আহমদ ও নাছির উদ্দিন।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/এমএইচ/এসডি-৩২