সিলেটের জৈন্তাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র বরখাস্তকৃত চিকিৎসক মুহিবুর রহমান রুবেল বিলাল আহমদ (৪৫) নামের এক রিকশা চালককে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে হাসপাতাল এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 


বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভিকটিম জানান- বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের বহিষ্কৃত চিকিৎসক মুহিবুর রহমান রুবেল রিকশা দিয়ে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আসেন। একএক করে তিন বার তিনি রিকশা দিয়ে যাতায়াত করেন। এসময় রিকশা ভাড়া বাবত চালককে বিশ টাকা দেন তিনি। এ টাকা ন্যায্য নয় বলে রিকশা চালক বললে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চিকিৎসক মুহিবুর রহমান রুবেল। একপর্যায়ে বাসায় রক্ষিত ফল কাটার ছোরা নিয়ে এসে রিকশা চালককে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় রিকশা চালকের আত্মচিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। হামলার ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।

 

জৈন্তাপুর বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আব্দুস সালাম, হিরন মিয়া জানান- দীর্ঘদিন হতে এ ডাক্তারকে সরকারীভাবে বিভিন্ন অপরাধের কারণে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। সম্প্রতি তিনি মদক সেবন করেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে। এসময় তিনি হয়তো মাদকাসক্ত ছিলেন, যার কারণে তিনি হামলা চালান। 

 

জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন বলেন- ‘আমি ছুটিতে রয়েছি। সংবাদ পেয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মমি দাশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

 

ডা. মমি দাস বলেন- ‘আমি ছুটিতে আছি বিষয়টি জানার পরপর প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।’ 

 

আহত রিকশা চালকের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ডা. মমি দাস।

 

এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন- ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।’

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/সাব্বির/মুন্না