সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে অনলাইনে ডলার বিনিয়োগ করে উচ্চ হারে লভ্যাংশ প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

 


এ ঘটনায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের মাওলানা আব্দুল মান্নান জিহাদীর ছেলে ও আলমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান আল আমিনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।

 

শুক্রবার দুপুরে প্রতারণার অভিযোগ দিতে দোয়ারাবাজার থানায় জড়ো হন যুবক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক মানুষ। ভাইনেন্স এপস্ এর মাধ্যমে অরোরা ডট ক্লাব সাইটে ডলার বিনিয়োগ করলে দৈনিক শতকরা ৫ ডলার লভ্যাংশ পাওয়ার লোভে বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি, বোগলাবাজার, নোয়াডর, বহরগাঁও, বাগানবাড়ি, ক্যাম্পেরঘাট, পেশকারগাঁওসহ ২৮ গ্রামের ৫শতাধিক মানুষ শিক্ষক আব্দুর রহমান আল আমিনের প্রলোভনে পড়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। প্রথমে চারমাস আগে ওই ব্যবসায় সম্পৃক্ত হন স্থানীয় কাঠালবাঢ়ি গ্রামের লোকজন। পরবর্তীতে ইউনিয়নের ২৮ গ্রামসহ আশপাশের লোকজন লোকাল এজেন্টের মাধ্যমে ওই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি পূঁজি ও লভ্যাংশ ফেরত চাইলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষক আল আমিনকে পুলিশে সোপর্দ  করেন বিনিয়েগকারীরা।

 

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী আপন জানান, শিক্ষক আল আমিনের প্রতারণার ছত্রছায়ায় কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি আমাকে জানান এলাকার কতিপয় ভূক্তভোগী যুবক। আমি তাদেরকে আইনি পরামর্শ নিতে বলি। সংবাদ পেয়ে  প্রতারণার শিকার ইকবাল হোসেনকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন শিক্ষক আল আমিন। তদন্ত সাপেক্ষে আমি বিষয়টির সুষ্ঠ বিচার চাই।

 

বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খান বলেন, আমি প্রতারণার বিষয়টি জেনেছি।সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

 

দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/তাজুল/এসডি-১৭