আ.লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত আকমল, ফারুক ও শামীম (বা থেকে)

আসন্ন জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ এবং বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জগন্নাথপু্র উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন’র প্রতি গেলবারের মতো এবারও আস্তা রেখেছে দলটি। এবার ওসমানীনগর উপজেলায় চমক দেখিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ নেতাদের টক্কর দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। আর বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ।

 


মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাদের মনোনীত করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

জানা যায়- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৯ নেতা। তাদের মধ্যে উপজেলা থেকে ৫ জনের নাম জেলায় প্রেরণ করা হলেও কেন্দ্রে ৭ জনের নাম দেয়া হয়। তারাও কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ক্রয় করেন। মনোনয়নপত্র ক্রয় করে জমাদানকারীরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, সাবেক সহসভাপতি হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর ও সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য সাবিনা সুলতানা। তাদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেনকে পুনরায় নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয় দলটি। গেল বারের মতো এবারও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়াই করবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা।

 

এদিকে- দ্বিতীয় বারের মতো সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ২ নভেম্বর। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ৬ নেতা। আওয়ামী লীগ নেতাদের টক্কর দিয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এ সন্তান ছাড়াও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গেল নির্বাচনে নৌকা নিয়ে পরাজিত হওয়া আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সুহেল।

 

অপরদিকে- প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ। তিনি ছাড়াও আরও ৯ নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রবাসী আকদ্দুছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামীম আহমদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, মহব্বত আলী জাহান, যুক্তরাজ্য ডটসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবাসী আব্দুল রোশন চেরাগ আলী, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সভাপতি প্রবাসী মোহাম্মদ আলী মজনু।

 

প্রসঙ্গত- গত ৬ জুন ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুরে উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ জুলাই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেটজুড়ে ভয়াবহ বন্যার কারণে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন বিশ্বনাথ পৌরসভা এবং স্থগিত থাকা ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। 

 

তফসিল অনুযায়ী- বিশ্বনাথ পৌরসভা, ওসমানীনগর ও জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৬ অক্টোবর, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১০ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর আর ২ নভেম্বর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/মুন্না