জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে আনন্দমুখর পরিবেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে 'পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩' উদযাপন করা হয়। আজ ১ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৯টায় জেসিপিএসসি'র অডিটোরিয়ামে 'পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩' অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি, উপাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক মো. আবদুল হান্নান, সম্মানিত শিক্ষক মণ্ডলী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজুক ইবতিশাম রাফির কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
'পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস-২০২৩'এর আলোচনায় জেসিপিএসসি'র অধ্যক্ষ মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বিধ্বস্ত দেশের নাগরিকের শিক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ড. কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তিনি বলতেন, 'সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।' আজ তিনি নেই। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সৃজনশীল মানবিক ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনের লক্ষ্যে নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন, কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, শিক্ষক নিয়োগ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, মেধা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। ২০১০ সাল থেকে সরকারিভাবে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসবের রেওয়াজ শুরু হয়।
সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বইপ্রেমী করে তুলতে বিনামূল্যে বই বিতরণ, পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা ও পাঠক সমাবেশের মতো বিভিন্ন উৎসাহমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরলস চেষ্টায় বছরের প্রথম দিনেই সকল শিক্ষার্থী নতুন পাঠ্যপুস্তক হাতে নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। শত বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতা কিংবা অপূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পারে। বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকমনস্ক হয়ে ওঠতে সক্ষম হয়। ফলে সে সুপ্ত প্রতিভার উন্মেষ ঘটিয়ে বিবেকবান হয়ে ওঠে। মানুষের মননশীল, সৃষ্টিশীল তথা যাবতীয় চিন্তার স্ফুরণ ঘটে পাঠ্যপুস্তক চর্চার মাধ্যমে। তোমাদেরকে যেকোন পাঠ বা অধ্যায় পড়ে শিখনফল আত্মস্থ করতে হবে, পাঠের মৌলিক ধারণা গ্রহণ তথা জ্ঞান ও দক্ষতা এবং প্রয়োগের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষার্থীদেরকে বই, ডায়েরি ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রতিষ্ঠানের ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০৯