সুনামগঞ্জের শাল্লায় বিশ্বশান্তির মঙ্গলার্থে ৩ দিনব্যাপি (২৪ প্রহর) হরিনাম সংকীর্তন শুরু হয়েছে।

 


মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে হরিনাম সংকীর্তন মঞ্চে শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা পাঠের মধ্যদিয়ে ৩ দিনব্যাপি ৪৩তম শ্রীশ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম মহাযজ্ঞানুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন হরিনাম সংকীর্তন কমিটির নেতৃবৃন্দ।

 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত হবে হরিনাম সংকীর্তনের শুভ অধিবাস।

রাত ৮টায় শাল্লা সদরে অবস্থিত ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রাম সংলগ্ন দাঁড়াইন নদীর পশ্চিম তীরে সংকীর্তন মঞ্চে দিরাই উপজেলার শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য সম্প্রদায় শুভ অধিবাস দিবসের কীর্তন পরিবেশন করবেন।

২৫ জানুয়ারি সূর্যোদয়ের পূর্বে শুরু হবে উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ এই তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান। নাম সংকীর্তন পরিবেশন করবেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৬টি কীর্তনীয়া দল।

 

একাধারে ৭২ ঘণ্টাব্যাপি হরিনাম সংকীর্তন পরিবেশনে রয়েছে যশোর জেলার ভক্ত হরিদাস সম্প্রদায়, খুলনার মা জয়ন্তী সম্প্রদায়, গোপালগঞ্জের মা তুলসী সম্প্রদায়, হবিগঞ্জের ভগবতী সম্প্রদায়, সুনামগঞ্জের অর্চনা সম্প্রদায় ও বৈষ্ণব সুন্দর সম্প্রদায়।

এই হরিনাম সংকীর্তন চলাকালীন সময়ে ভক্তবৃন্দের জন্য প্রসাদের আয়োজন করা হয়ে থাকে। ২৮ জানুয়ারি সকালে দধিভঙ্গের মাধ্যমে শেষ হবে ৩ দিনব্যাপী হরিনাম মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান।

 

এবিষয়ে হরিনাম সংকীর্তন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় ৩দিনব্যাপী হরিনাম সংকীর্তনের সূচনা হতে যাচ্ছে আজ (২৪) জানুয়ারি শুভ অধিবাসের মধ্যদিয়ে। আমরা পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম ও বর্ণের সকল মানুষের মঙ্গল কামনা করবো এই কীর্তন মহোৎসবে। ৪৩তম হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত প্রায় লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। এবারও লাখ মানুষের পদচারণায় মুখরিত হবে শাল্লা সদরের এ হরিনাম সংকীর্তন অঙ্কন বলে জানান তিনি।

 

সংকীর্তন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোজ কান্তি সরকার বলেন প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও উৎসব মুখর এবং শান্তিপূর্ণভাবে হরিনাম মহাযজ্ঞানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/সন্দীপন/এসডি-১৫