সিলেট থেকে ঢাকার যাত্রাপথে সময় বাঁচাতে অনেকে বেছে নেন আকাশপথ। গেল কয়েকবছরে আকাশপথের যাত্রী তুলনামূলক বেড়েছে। সেইসাথে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভাড়া। এছাড়াও কৃত্রিম সংকটের কারণে অধিকাংশ যাত্রীদের চড়া মূল্যে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের টিকিট কিনতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে যাত্রীদের চাহিদার সুবিধার্থে অভ্যন্তরীন রুটে ভাড়া কমানোর দাবি উঠেছে।

জানা যায়, সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের সর্বনিম্ন ভাড়া তিন হাজার পাঁচশত টাকা। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ারের সর্বনিম্ন ভাড়া এর চেয়ে তিনশ টাকা বেশি। তবে নির্ধারিত ফ্লাইটের ৩-৪ দিনে আগে না কাটা হলে এই মূল্যে টিকিট পাওয়া যায় না বলে জানা গেছে।


আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলোতে অভ্যন্তরীন ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য টিকিট পাওয়া দুষ্কর। বিমানের ফ্লাইটে সাধারণ যাত্রীদের জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাড়া কমানো হলে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনখাত আরও সমৃদ্ধ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সিলেট-ঢাকা রুটে বিমান ভাড়া কমানোর দাবিতে দাবি ব্যবসায়ী  সংগঠনের পক্ষে। দুই মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। চেম্বারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপির কাছে এই আবেদন পাঠানো হয়।
 
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ স্বাক্ষরিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণকারী বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে সিলেট-ঢাকা রুটের অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন করা হয় না। তাই যাত্রীদের ঢাকায় যাতায়াত করতে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের উপর ভরসা করতে হয়। কিন্তু অভ্যন্তরিণ ফ্লাইটের ভাড়ার জন্য যাত্রীদেরকে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। কিন্তু দেশের অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে এর অর্ধেক ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। ফলে ভাড়ার ক্ষেত্রে সিলেটের যাত্রীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ভাড়া বেশি হওয়ায় সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দিন দিন পর্যটকের সংখ্যাও কমছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করা আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঢাকায় যাওয়ার সময় অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রী বহন ও ভাড়া কমানো হলে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনখাত উপকৃত হবে। সরকারেরও রাজস্ব আদায় বাড়বে।

এদিকে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সিলেটে প্রতিদিন ছয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। একইসাথে ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে নভোএয়ার।

গেল কয়েকবছরে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানভাড়া দ্বিগুন হয়েছে। শুধুমাত্র অভ্যন্তরীন রুটের জন্য আলাদাভাবে বিমানের আসনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়নি। সেইসাথে বিমান টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা এবং টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিমানযাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। তবে আদৌ এই রুটে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ভাড়া কমানোর ব্যাপারে জবাব দিতে পারছেন না কেউ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/