‌অমর একুশ ভাষা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘স্রোতে'র  আয়োজনে প্যারিসে অনুষ্ঠিত হল ‌একুশের কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভা।
 

কবি বদরুজ্জামান জামানের উপস্থাপনায় সোমবার সন্ধ্যায় প্যারিসের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়।
 


বাংলাদেশে একুশের প্রথম প্রহর হিসাব করে একুশের অমর সংগীত 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি' এর সমবেত
কণ্ঠে পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
 

অনুষ্ঠানে- আলোচনা এবং  একুশ নিয়ে লিখা প্রসিদ্ধ কবিতাসমূহের আবৃত্তি ও স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশ নেন- কবি আবু জুবায়ের, সংগীতশিল্পী আরিফ রানা, আবৃত্তিশিল্পী শম্পা বড়ুয়া, আবৃত্তিশিল্পী মুনির কাদের, আবৃত্তিশিল্পী ও লেখক মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, ছড়াকার লোকমান আহমদ আপন, সংগীতশিল্পী ইসরাত খানম ফ্লোরা, অভিনেতা সোয়েব মোজাম্মেল, স্রোত সম্পাদক কবি বদরুজ্জামান জামান, কবি মেরি হাওলাদার, রামিসা বাতুল, পলাশ বড়ুয়া প্রমুখ।
 

সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী কুমকুম সাইদা।

আলোচনায় উঠে এসেছে- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালিদের মনে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করে। কাজেই বাঙালি জাতীয়তাবোধ বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাভাষা বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত রাষ্ট্রভাষা। এ ভাষার রয়েছে নিজস্ব বর্ণমালা এবং বিশ্বমানের সাহিত্যসম্ভার।
 

পৃথিবীতে প্রায় এক কোটির উপরে মানুষ বাংলাভাষায় কথা বলে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের মুখের ভাষা টিকে থাকা খুবই সংগত কিন্তু এই ভাষা আজ বিপন্নতার  মুখোমুখি। এত বিসর্জন ও অর্জনের পরও বাংলাভাষা আজ স্বকীয়তা হারাচ্ছে দিন দিন। এফ এম বেতার টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দি উর্দু ইংরেজি মিলিয়ে একটি মিশ্র ভাষারূপ সৃষ্টি হওয়ার পথে। যা বাংলাভাষার জন্য মোটেই সুখকর নয়। যেদেশে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য আছে অথচ সেদেশে বাংলাভাষার যে যথেচ্ছার চলছে তা দেখার কেউ নেই।
 

বাংলাভাষার যথেচ্ছার ও বিকৃতি রোধের জন্য অনুষ্ঠান থেকে সরকারের কাছে বাংলাভাষা ব্যবহারের রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নের জন্য দাবি জানানো হয়।
 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/জামান/এসডি-০১