সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতে চায়ের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। বিশেষ করে পুনিং (আগাছাঁটাই) করা চা গাছে দ্রুত গজাতে শুরু করবে কুঁড়ি। প্রথম বৃষ্টিপাতে চায়ের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। এতে বাগান মালিক ও চা সংশ্লিষ্টরা খুশি। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাছাড়া রোববার (১৯ মার্চ) সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ চা শিল্পাঞ্চলে রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৫.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 



শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস জানান, রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৫.৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩ নটিক্যালমাইল অর্থাৎ ৫.৫৬ কিলোমিটার। সকাল ৬ টা ও দুপুর ১২ টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আজ সোমবার  সকালে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার (২০ মার্চ) সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। 

বিভিন্ন এলাকায় রোববার বৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে বয়ে গেছে ঝোড়ো হাওয়া। এর রেশ ছিল সোমবার সকালেও। দিনের বাকি সময়েও দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া এবং মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিপাত হওয়াতে চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। বৃষ্টি হওয়ায় এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি চলে আসবে। টিপিং দ্রুত হবে। এরপর প্লাকিংও শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যে মাত্রার ওপরে চা উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ইআ-০১