সিলেটের বালাগঞ্জে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে পুরো এলাকাবাসী।
 

উপজেলার নুরপুর গ্রামসহ এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন ঐক্যবদ্ধভাবে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
 


এলাকাবাসীর সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এ পরিষদের উদ্যোগে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
 

গত ২৬ মার্চ উপজেলার ইলাশপুর বাজারে শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। ২৭ মার্চ এলাকার বিভিন্ন মসজিদে সুমাইয়া স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সুমাইয়ার পরিবারের সাথে শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষাত করেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলে সংগ্রাম পরিষদ জানিয়েছে।
 

জানা যায়, গত ২২ মার্চ বালাগঞ্জ উপজেলা বোয়ালজুর ইউনিয়নের বাণীগাঁও এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া দশম ছাত্রী সুমাইয়া খুন হয়। পেকুয়া ব্রিজের আশপাশ ঝোঁপ-জঙ্গল থেকে বিকেলে তাঁর লাশ উদ্ধার করে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ। ২৩ মার্চ নিহতের ভাই ইসকন্দর মিয়া বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-০৬। সুমাইয়া বোয়ালজুর ইউনিয়নের নুরপুর (হেকিম আলী) গ্রামের আইন উল্যার কনিষ্ঠ মেয়ে। ইতিমধ্যে সুমাইয়া হত্যা মামলায় সন্দেহজনক ভাবে লিটন মিয়া নামের একজন কে আটক করেছে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ। আটককৃত লিটন মিয়া (৩৫) বোয়ালজুর ইউনিয়নের মোবারকপুর (ঘাগরাকান্দি) গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
 

নিহত সুমাইয়ার ভাই ইসকন্দর মিয়া বলেন, আসামীরা আমার মেধাবী বোন সুমাইয়াকে হত্যা করে আমাদের পরিবারের সুখ কেড়ে নিয়েছে। সর্বকনিষ্ট বোনকে হারিয়ে আমরা পাগলপ্রায়। আমরা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

শহীদ সুমাইয়া সংগ্রাম পরিষদ এর সদস্য মতিউর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী সুমাইয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে অত্র পরিষদ আন্দোলন করে যাচ্ছে। আসামী গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
 

বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস বলেন, সুমাইয়া হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে গোটা এলাকাবাসী আজ ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচী পালন করে প্রমাণ করছে যে, আসামীদের গ্রেফতারই এখন সময়ের দাবী।

তিনি হত্যাকারীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
 

বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া হত্যাকান্ডে কে বা কারা জড়িত তা বের করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে একজনকে সন্দেহজনকভাবে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১৫