সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে গত ১৫ মার্চ পুলিশের অভিযানে মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র ধরা পড়লেও এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দুজন এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ একাধিকবার তাদের বাড়িতে অভিযান চালালেও আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের ধরতে পারেনি।
এই দুই আসামি হলেন- মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ (এলসি নম্বর ০২১৮২২০১০ ও আমদানি সনদ নম্বর আই.আর.সি-২৬০৩৯১১১০০৬২৬১৯)-এর স্বত্বাধিকারী মোছা. রহিমা বেগম (মমতাজ) ও তার স্বামী মো. রিয়াজ উদ্দিন। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ যায়, গত ১৫ মার্চ বিকেলে ভোলাগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ৩টি ট্রাকভর্তি চুনাপথর আসছিলো বাংলাদেশে। সেই ৩টি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দুইটি রিভলবার, ১ শ পিস ইয়াবা এবং ২ কেজি গাঁজা জব্দ করে। মোছা. রহিমা বেগম (মমতাজ) এবং মো. রিয়াজ উদ্দিনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে এই চালানটি এসেছিল।
অভিযানের সময় ৩ ট্রাক চালককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ এবং এ ব্যাপারে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই এলসির মালিক রহিমা বেগম ও তার স্বামী মো. রিয়াজ উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, দুটি পৃথক মামলার আসামি মোছা. রহিমা বেগম (মমতাজ), মো. রিয়াজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আমাদের সোর্স তাদের বসতবাড়ি ও সম্ভাব্য যাওয়ার জায়গাসমূহে কঠোর নজরদারি রেখেছে। যখনই তারা নজরে আসবে গ্রেপ্তার করা হবে।