গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনির সশস্ত্র দলগুলো অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বুধবার (৩ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, ‘পারস্পরিক এবং একযোগে’ অস্ত্র বিরতিটি ভোর সাড়ে তিনটার দিকে কার্যকর হয়।

 


মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এটি কার্যকর হয়। এর আগে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। মঙ্গলবার (২ মে) রাতের এই হামলার প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গাজাবাসী।

 

ইসরায়েলি কারাগারে খাদের আদনান নামের এক বন্দির মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। ‘অবৈধ গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আদনান আমরণ অনশন শুরু  করেন। দীর্ঘ ৮৭ দিন অনশন করার ২ মে তার মৃত্যুর খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

 

‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন’ বন্ধে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় যুক্ত ছিল হামাসের একটি প্রতিনিধি দলও। বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করতে উভয় দেশ ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

 

একটি ফিলিস্তিনি সূত্র আল জাজিরা আরবিকে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ যেন না বাড়তে পারে, সেজন্য বেশ কয়েকটি পক্ষের আলোচনার ফলাফল ছিল এই যুদ্ধবিরতি। হামাস ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কর্মক্ষমতারও প্রশংসা করেছে।

 

মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামিক জিহাদসহ গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, রকেট হামলাটি (ইসরায়েলে) আদনানের মৃত্যুর একটি ‘প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া’ ছিল।

 

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে অন্তত ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। এরমধ্যে দু’টি গিয়ে পড়ে দক্ষিণের শহর সেরতে।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/ইআ-০২