হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে চাহিদামতো উৎকোচ না দেয়ায় জলমহালের বন্দোবস্তের রেজুলশন গোপন করে ইজারার অনুমতিপত্র আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা তজমুল হকের বিরুদ্ধে।
উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামের সোনারতরী মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো.ছালেক মিয়া ১৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এই অভিযোগ দায়ের করেন।
‘উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে উনার চাহিদা অনুযায়ী উৎকোচ না দেয়ায় তিনি বন্দোবস্তের কাগজ আটকে রেখে অন্য আরেকটি মৎস্য সমবায় সমিতিকে সুবিধা দেয়ার জন্য বন্দোবস্ত আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।’
ছালেক মিয়ার অভিযোগ, সোনার তরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি তিনি। উক্ত সমিতির পক্ষে মেঘার চর জল মহালটি তিন বৎসরের (বাংলা ১৪৩০ হইতে ১৪৩৩ সন পর্যন্ত) ইজারা নিতে যথাযথ নিয়মানুসারে গত ৪ এপ্রিল দুপুর ১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় হইতে মিটিং এর মাধ্যমে ইজারা বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হয় তার সমিতি। ইজারা বন্দোবস্ত গ্রহণ করার পর পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. তজমুল হকের নিকট যান তিনি। কয়েক বার যাবার পর তজমুল হক বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তার আড়ালে পঞ্চাশ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন৷ কিন্তু তিনি উৎকোচ দিতে অসম্মতি জানান ।
তাই অভিযোগকারী উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক সহ সরকারি আরও ৬টি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. তজমুল হকের মুটোফোন কল দিলে তিনি জানান, রেজুলেশন তৈরি করতে বিলম্ব হওয়ায় এমনটি হয়েছে। তবে উৎকোচ চাওয়া ও কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় কথাবার্তার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি৷
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) নাহিদা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করতে নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি মুটোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/মিলাদ/ইআ-০৩