সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রতিটি শিল্প বিপ্লবই গতি এনে দেয়। তবে চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অনেক বেশি গতিশীল। এই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (১৬ মে) সিলেট বিভাগের শীর্ষ বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে সিলেট জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।


ড. মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করলেও একসময় আমাদেরকে লক্ষ্যহীন করে দেওয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন পরবর্তী রূপকল্প ২০৪১ দিয়ে আবার আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই লক্ষ্য অর্জনে নতুন প্রজন্মকে দেশের ভিত্তি এবং অতীত ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক এবং সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ইমজার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আল আজাদ।

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির আইন ও বিচার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গাজী সাইফুল হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শিবপ্রসাদ সেন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ড. মুহাম্মদ মোশররফ হোসেন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে কিংবা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাঙালি কখনও পিছনে থাকেনি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বাঙালিই সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ছিল, জীবন দিয়েছিল।

তিনি বলেন, যেখানে চ্যালেঞ্জ থাকে সেখানে সুযোগও থাকে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বিপ্লব সাধিত হয়ে গেছে। তাই কেউ আর উপবাসে থাকে না। তিনি পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, পাতাল রেল ও দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতির জন্যে দূরদর্শিতা থাকতে হয়। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারের বাইরে নয় বরং সরকারের পরিপূরক। আগামী দিনেও সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়নে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি সহযোগিতা করবে।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো সালাহ উদ্দিন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রবন্ধের উপর আলোচনায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুরেশ রঞ্জন বসাক বলেন, প্রগতির সঙ্গে মূল্যবোধ ও প্রযুক্তির মিশ্রণ ঘটাতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ বলেন, বাঙালির কাছে অসাধ্য বলে কিছু নেই। চ্যালেঞ্জ মোকাববিলা করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা হবে।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে