গোলাপগঞ্জ উপজেলার এক মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ১০ মে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ১০।
মামলার আসামীরা হলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার রুইগড় উত্তর গোয়াসপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে মামুন আহমদ (২৪), চৌঘরি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে জাকির আহমদ (১৮), রুইগড় উত্তর গোয়াসপুর গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে ফখরুল ইসলাম, ঘুষগাঁও গ্রামের রহমান আলীর স্ত্রী রুজি বেগম, গোলাপগঞ্জ উপজেলার শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল হক চৌধুরী (মানিক মিয়া)’র ছেলে সাবেক ২নং গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের দূর্নীতির দায়ে বরখাস্তকৃত সাবেক চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন আসামী।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ৩ মে ঐ মাদ্রাসা ছাত্রী মোগলাবাজার থানার আওতাধীন কুচাই পূর্বপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঐ দিন সন্ধ্যায় মাদ্রাসা ছাত্রী নানার বাড়ির বাহিরে আসার পর তাকে পাওয়া যায়নি। চারিদিকে অনেক খোঁজাখোঁজি করেও না পাওয়াতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়। সাধারণ ডায়েরী নং- ৩৮০।
পুলিশ সাধারণ ডায়েরীর সূত্র ধরে গত ৮ মে ৫নং আসামী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি কর্মী কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা আশফাক আহমদ চৌধুরীর বাড়ি থেকে ঐ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ছাত্রীর দেওয়া তথ্য মতে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ১ নং আসামী মামুন ও ২নং আসামী জাকির জোরপূর্বক কিশোরীকে অপহরণ করার পর অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় বিভিন্নস্থানে রাত্রীযাপন ও একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন জানান, মামলাটি থানায় রেকর্ড হওয়ার পর থেকে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/সুহেব/ইআ-১৩