সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হতে আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। অথচ এখনো প্রচারণায় নামেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান আতাউর রহমান। এমনকি নির্বাচনী এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের কোনো পোস্টার ও লিফলেটও নেই। এ অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছেন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে তিনি দলের মনোনয়ন পাওয়ায় আমরা তাঁর সঙ্গে ছিলাম। মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে তাঁর সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে পোস্টার, লিফলেট ও কর্মিসভার জন্য যোগাযোগ করে তাঁর সাড়া পাচ্ছি না।'


উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা জানান, আতাউর মীরপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম- আহ্বায়ক। এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির একসময়ে উল্লেখযোগ্য ভোটব্যাংক ছিল। এ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পার্টি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। পরে তাঁর ভাই ফারুক রশীদ চৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা আবু খালেদ চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, আতাউর রহমান উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নে হাসান ফাতেমাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এ পর্যন্ত ১০ বার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে জয়ের দেখা পাননি। ৭৮ বছর বয়সী আতাউর রহমান ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। এরপর তিনি মীরপুর ইউনিয়নে পাঁচবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পরে ২০০১ ও ২০০৫ সালে জাতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করেন। এবার তিনি জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের পরই জাতীয় পার্টি লাঙ্গলের ভোটব্যাংক ছিল। প্রতিটি নির্বাচনে এর প্রমাণ রয়েছে। যোগ্য নেতৃত্ব ও সঠিক প্রার্থী না হওয়ায় ভোটে প্রভাব পড়ছে। আতাউর রহমান যে প্রার্থী হয়েছেন, তা দলের কর্মীরাও জানেন না ৷

এ বিষয়ে আতাউর রহমান বলেন, 'আমি আর্থিকভাবে কিছু সমস্যায় আছি। তাই পোস্টার, প্রচারপত্র ও প্রচারণা ঠিকমতো চালাতে পারছি না। আর্থিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ২৫ মে ভোট গ্রহণ। ২৩ মে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ মাহি