ছবি- শাহীন আহমদ

হাতেগনা আর ১৬ দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন।ভোটের প্রচারে জমে উঠেছে হযরত শাহজালালের এই পূণ্যভূমি। প্রতীক নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। চলছে মিছিল-মিটিং ও পথসভা। প্রচার-প্রচারণা, ব্যানার-ফেস্টুন আর মাইকিংয়ে এখন সরগম সিলেট নগরী।


গত ২ জুন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর পরই আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। নগরজুড়ে সাটানো হচ্ছে ব্যানার ও ফেস্টুন। চলছে মাইকিংও। বিজয় নিশ্চিতে মরিয়া প্রার্থীরা। নানাভাবে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অলিগলিসহ সর্বত্র মিছিলে মিছিলে সরগরম পুরো সিলেট নগরী।



এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে। এছাড়ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাজেফ মাওলানা মাহমুদুল হাসানও রয়েছেন আলোচনায়।


নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত  নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা), জাকের পার্টির জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ (ঘোড়া), মো. শাহ জাহান মিয়া (বাস গাড়ি) এবং ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট)।


এদিকে রোববার (৪ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত  নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নগরীর কাজল শাহ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি একটি স্মাট সিলেট নগরীর গড়তে ভোট প্রার্থনা করেন।


অপরদিকে একই সময়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল নগরীর কালীঘাট এলাকায় গণসংযোগ করেন। সেখানে তিনি সিলেট নগরীকে একটি নান্দনিক নগরীতে রূপান্তর করার ঘোষনা দিয়ে বলেন, এই নগরবাসী অনেক দিন বঞ্চণার স্বীকার হয়েছেন। উন্নয়নের ফাঁকা বুলিতে আর এই নগরবাসীকে ভুলানো যাবেনা। এবারের নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের জোয়ার উঠেছে। কোন ষড়যন্ত্রই এ বিজয়কে রুখতে পারবে না।


শহরকে সুন্দর করে সাজানোর আধুনিক পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি যদি আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় নির্বাচিত হতে পারি তাহলে সিলেট শহরকে উন্নত বিশ্বের আদলে একটি পরিপূর্ণ আধুনিক উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।


রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে মোট ৭ জন মেয়র এবং ৩৭২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১হাজার ৩৬৪টি। ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিলেটের সকল ওয়ার্ডে এবারই প্রথম হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/কেআই-এম