মাঠে, ঘরে, গাড়ির যাত্রীদের মাঝে, চা এর স্টলে, বন্ধুর আড্ডায় আলোচনা চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ২০২৩ খ্রীষ্টিয় সালের ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ খ্রীষ্টিয় সালের শুরুতেই হওয়ার কথা। কথা বলছেন ও ভাবছেন আমাদের এপর্যন্ত পাড়ি দিয়ে আসা এগারোটি জাতীয় সংসদ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মানুষ। পরাধীন বাংলাদেশে ১৯৭০ খ্রীষ্টিয় সালের তৎকালীন পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ আসনে বিজয়ী হয়েছিলো।
 

পাকিস্তান সরকারের ধারাবাহিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করতে করতে অবশেষে দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ খ্রীষ্টিয় সালের ১৬ডিসেম্বর স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে তখন স্বাভাবিক ভাবেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সরকার পরিচালিত হয়।
 


প্রথম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে  সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা -
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ খ্রীষ্টিয় সালের ৭মার্চ। সে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান করে সরকার গঠন করে। প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ ১টি, জাতীয় লীগ ১টি ও স্বতন্ত্র ৫টি আসনে জয় পায়। প্রথম জাতীয় সংসদ ১৫ জন সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ মোট ৩১৫জন সংসদ সদস্য নিয়ে যাত্রা করলেও এর স্থায়িত্ব ছিলো ২ বছর ৬ মাস এবং প্রথম সংসদে কোনো বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন না।
 

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৭৫ খ্রীষ্টিয় সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটে। নানান ঘটনার পরে ১৯৭৯ খ্রীষ্টিয় সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ২০৭টি আসনে জয়ী হয়। সংসদ নেতা হন শাহ আজিজুর রহমান। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দল অংশ নেয়। বিরোধীদলীয় নেতা হন আসাদুজ্জামান খান। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও ওই সংসদ পূর্ণ মেয়াদ পাড় করতে পারেনি।
 

তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ১৯৮৬ খ্রীষ্টিয় সালের ৭মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১৫৩টি আসনে জয়ী হয়। আওয়ামী লীগ, সিপিবি, জাসদ, জামায়াতে ইসলামী ইত্যাদি দল অংশ নিলেও বিএনপি তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে। তখন সংসদ নেতা হন মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং বিরোধীদলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। সংসদের মেয়াদ ছিলো মাত্র ১৭মাস।
 

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ খ্রীষ্টিয় সালের ৩মার্চ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। জাতীয় পার্টি ২৫১টি আসন পায় এবং সংসদ নেতা হন প্রথমে মওদুদ আহমেদ পরে কাজী জাফর আহমেদ। বিরোধীদলীয় নেতা হন আ স ম আব্দুর রব। এই সংসদের মেয়াদ ছিলো দুই বছর ৭মাস।
 

পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : দীর্ঘ আন্দোলনের পরে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ প্রায় সকল দল (২১টি রাজনৈতিক দল) অংশ গ্রহণ করেছিলো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। নির্বাচনে বিএনপি সর্বোচ্চ ১৪০টি আসন পায়, আওয়ামী লীগ ৮৮টি, জাতীয় পার্টি ৩৫টি, বাকশাল ৫, জামায়াতে ইসলামী ১৮টি এবং অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও জয়ী হয়। সংসদ নেতা নির্বাচিত হন বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। এ সংসদ ৫বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। মেয়াদ ছিলো ৪বছর ৮মাস।
 

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রত্যাখান করে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তাই ১৯৯৬ সালের ১৫ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে বিএনপি একতরফা ভাবে ২৭৮টি আসনে জয়ী হয়, ফ্রীডম পার্টি ১টি আসন পায়, স্বতন্ত্র ১০টি আসন পায়, বাকী আসনে ফলাফল অসমাপ্ত ছিলো। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী হন বেগম খালেদা জিয়া। দুঃখজনক ভাবে রাষ্ট্রের এতো এতো টাকা খরচ করে অনুষ্ঠিত সংসদের মেয়াদ ছিলো মাত্র ১১দিন।
 

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ১২জুন ১৯৯৬ সালে। এসময় আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসন পায়, বিএনপি ১১৬টি, জাতীয় পার্টি ৩২টি, জামায়াতে ইসলামী ৩টি, ইসলামী ঐক্যজোট১টি, জাসদ ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১টি আসন পায়। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা হন খালেদা জিয়া। এই প্রথম সংসদের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হয়েছিলো।
 

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : স্বাভাবিক নিয়মে দ্বিতীয় বারের মতো ২০০১ খ্রীষ্টিয় সালের ১ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ১৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বিএনপি ১৯৩টি আসনে জয় পায়, আওয়ামী লীগ ৬২টি, জামায়াতে ইসলামী ১৭টিসহ অন্যান্য আসনে বাকী প্রার্থী জয়ী হন। আবারও সংসদ নেতা হন খালেদা জিয়া এবং বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ পূর্ণ মেয়াদ ৫বছর ছিলো।
 

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : বাংলাদেশের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সময় মতো হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ২০০৮ খ্রীষ্টিয় সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩০টি, বিএনপি ৩০টি, জাতীয় পার্টি ২৭টি, জাসদ ৩টি, এলডিপি ১টি সহ অন্য আসনে বাকী প্রার্থী জয়ী হয়। এবার সংসদ নেতা হন শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা হন খালেদা জিয়া। সংসদ তার পূর্ণ মেয়াদ ৫ বছর পাড়ি দেয়।
 

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন : এ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ ১৫৩টি আসনে জয় পায়। বাকী ১৪৭টি আসনে ভোট হয়। আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে আসন পায়। নির্বাচন শেষে সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগ ২৩৪টি আসন পায়। সংসদ নেতা হন শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা হন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ।
 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : এটি বাংলাদেশের এগারোতম সাধারণ নির্বাচন। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ খ্রীষ্টিয় সালের এ নির্বাচনও আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি। আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসনে জয় পায় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। এ সংসদে জাতীয় পার্টি ২২টি আসনে জয় পেয়ে বিরোধীদলীয় মর্যাদা নিয়ে সংসদে আছে। বিএনপি অংশ নিয়ে ৭টি আসন পায়। শেষে তারা সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
 

এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা উত্তপ্ত। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে এবছরের শেষে না-হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকেই এ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে আগামী সাধারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশে বিদেশে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। কারণ, শুরু থেকেই বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও অন্য দলগুলো পুনরায় নির্বাচন দাবি করে আসছে এবং পাশাপাশি নানান রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। এখন পর্যন্ত বিএনপির ঘোষণা দলীয় সরকারের অধীনে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না এবং তারা তা হতে দিবে না। বিএনপি মনে করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপি ও কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। কিন্তু ; বর্তমানে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব থেকে সংসদের ভিতরে ও বাহিরে জোরালো বক্তৃতা দেয়া হচ্ছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধানের নিয়ম মেনে।
 

ইতিমধ্যে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতো নিকটে আসছে ততোই দেশে বিদেশে নানামুখী রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে তাদের বক্তব্যে অনড় আছে। অন্যদিকে বিএনপির ঘোষণা আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে বিজয় পাওয়া। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা মোকাবিলা করার জন্যে সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছি স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটানোর আন্দোলন। ওই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জামায়াতে ইসলামীসহ সকল রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আন্দোলনে সার্বক্ষণিক সক্রিয় থেকেছিলো বাংলাদেশ ছাত্র লীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মতো বৃহৎ ছাত্র সংগঠনগুলো। বিপরীতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি  ও তার ছাত্র সংগঠন ততোটা শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি পায়নি। কিন্তু ; এখন শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তেমন নয়। সাধারণ সচেতন চোখে রাজনৈতিক মাঠে তাকালে বুঝতে পারা যায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এখনও যথেষ্ট জনপ্রিয়। সবচেয়ে বড়ো কথা আওয়ামী লীগ তার ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন ও মূল সংগঠনকে সারাদেশে গুছিয়ে নিয়ে শক্ত অবস্থানে আছে। বিগত বছরগুলোতে বারবার দেখা গেছে আওয়ামী লীগ কঠোর ভাবে ও কৌশলে বিএনপির আন্দোলন থামিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় বিএনপি আগামী দিনে কতোটা পারবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কৌশল মোকাবেলা করতে বোঝা যাচ্ছে না। অপরদিকে বিএনপির প্রধান নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাজা ভোগ করছেন এবং দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমান পনেরো বছর ধরে বিদেশে আছেন। এ অবস্থায় বিএনপি আন্দোলনের মাঠে শেষ পর্যন্ত কতোটা সফল হবে সেটা সময় বলে দিবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি আন্দোলনের মাঠে আছে। আওয়ামী লীগও আছে তাদের কর্মসূচি নিয়ে। উভয় দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে বড়ো রকমের সংঘাত না-হয় সে জন্যে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর আছে। তবে ; লক্ষণীয় যে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরও কিছু রাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করছেন। দেশের সাধারণ মানুষের সাথে আলাপ করলেও বুঝা যায় তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে সজাগ আছেন। জনগণ বিগত দুই দশক আগের এবং চলমান রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন এবং সচেতন। দেশের মানুষ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। দেশের আরও উন্নয়ন চায়। দেশের মানুষ বৃহৎ দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশ গ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো, দেশের শিক্ষিত সচেতন ছাত্র সমাজ দেশের পতাকা ও দেশের স্বাধীনতার মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে চায় না।

 


 

লেখক: মোহাম্মদ আব্দুল হক, কলামিস্ট