বুয়েট ঢাকা অর্থাৎ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ঢাকা যা সাধারণ উচ্চারণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন সময়ে সামনে এসেছে লেখাপড়া জানা মানুষের ঘরে, সুশীল সমাজের আলোচনা সমালোচনা ও লেখায়, এমনকি চা-স্টলে সিঙ্গারা চা খেতে খেতে সাধারণ মানুষের আলোচনায়। অতীতের আরও অনেক রকম নির্মম ঘটনাকে ছাপিয়ে ২০১৯ খ্রীষ্টিয় সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুয়েট) এর ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকে সারা দেশের সচেতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রথমে স্তম্ভিত হয়েছেন এবং এরপর থেকে প্রথমে গুনগুন আওয়াজ এবং পরে খুব জোরেশোরে আওয়াজ তুলেছেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। 


লেখক, কলামিস্টরা লিখেছেন বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির পক্ষে ও বিপক্ষে যৌক্তিকতা খুঁজে। আমাদের জানা আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে এবং পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ছাত্র রাজনীতি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। অতীত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস খুঁজে দেখলে বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। 



কিন্তু সবসময়ই দেশের পরিস্থিতি এতো খারাপ থাকে না যে, ছাত্রদেরকে নিয়মিত কোনো-না কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে কোনো-না কোনো ছাত্র সংগঠনের নাম নিয়ে কমিটি করতে হবে, মিছিল করতে হবে, রাজনৈতিক দলের নেতাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র সমাজ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দ্বারা বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন নামে ছাত্র সংগঠনের সাথে জড়িয়ে যায় এবং এখান থেকেই সবসময় এক-ই প্রতিষ্ঠান এমনকি এক-ই শ্রেণির শিক্ষার্থী অপর শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কারণে প্রতিপক্ষ ভাবে। এখান থেকেই শুরু হয় ছাত্র ঐক্যের নেতিবাচক প্রভাব। প্রিয় পাঠক আমার লেখা ছাত্র রাজনীতির পক্ষে বা বিপক্ষে এ বিষয়ে আপনার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একটু সময় নিন।  


ছাত্র রাজনীতি আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ হয়ে উঠার ইতিহাস ঐতিহ্যের অংশ। স্বাধীন বাংলাদেশ হয়ে উঠার আগে ছাত্ররা এখনকার মতো কথায় কথায় কোনো-না কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে জিন্দাবাদ বা মুর্দাবাদ দিতো না, বরং ; ছাত্রদের মধ্যে মেধাবীরাই জাতির প্রয়োজনে সুচিন্তিত স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্য পূরণে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখতো। বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন আমাদের সামনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মনে পড়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশে আমার সামনে স্বৈরাচার বিরোধী ক্ষোভে যখন সারাদেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ তখন ১৯৮৭ খ্রীষ্টিয় সালের ২৬ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলের সাথে আমিও অংশ গ্রহণ করি, সেদিন ছিলো সারাদেশে উপজেলা ঘেরাও কর্মসূচি। পুলিশের নির্যাতন সয়ে শেষে গ্রেফতার হয়ে প্রথমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে ও পরে সিলেট জেলা কারাগারে কারাবরণ করি কয়েক মাস। ওই আন্দোলন ছিলো দীর্ঘ কয়েক বছর। সফলতা আসে ১৯৯০ খ্রীষ্টিয় সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। তখনকার সময়ের সকল ছাত্রদের একজোট হয়ে আন্দোলন স্বাধীন বাংলাদেশের এক প্রোজ্জ্বল উদাহরণ। 


কিন্তু; আমাদের দেশে সবসময় স্বৈরশাসন চলে না এবং সেজন্যে সবসময় ছাত্র রাজনীতি নিয়ে অধিক মনোযোগ দিতে হয় না মনে করি। নিঃসন্দেহে শুধুমাত্র বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অধীন বা লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন পদ পদবীর লোভে সার্বক্ষণিক ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে থাকা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘ্নিত হয়। এতে করে ওইসব ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করার প্রতিযোগিতায় সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সংগঠনে টানতে গিয়ে অনেক সময় সহজ সরল শিক্ষার্থী যে কি-না মা-বাবার কাছ থেকে আহবান শুনে এসেছিলো যেনো কোনো ভাবে কোনো ছাত্র সংগঠনের রাজনীতিতে না-জড়ায়, সেরকম সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংগঠনের নেতাদের টানাহেঁচড়ার শিকার হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলো কলহে জড়িয়ে পড়ে। এহেন পরিস্থিতিতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা আর ভালো ভাবে লেখাপড়া করতে পারে না। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনে জড়িয়ে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অন্বেষণের পরিবর্তে ছাত্র রাজনীতির পদ পদবীর অন্বেষণে ব্যস্ত হয়ে সময় কাটায়। এর জের ধরে একে একে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেই চলছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি এমনকি প্রাণহানি ঘটে শিক্ষার্থীদের। শুরু হয় আমাদের অভিভাবকদের সারাজীবনের কান্না। বন্ধ হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যাহত হয় দেশের সুস্থ ধারার শিক্ষা জীবন। প্রাসঙ্গিক বিষয় আবরার হত্যা ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বিষয়ে, আমাদের বুয়েটের ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র কুষ্টিয়ার ছেলে আবরার ফাহাদকে বুয়েট শাখা ছাত্র লীগের কয়েকজন নেতা পিটিয়ে হত্যা করে। ২০১৯ খ্রীষ্টিয় সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের সেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ভোঁতা জিনিসের মাধ্যমে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তখন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, 'পুলিশের ধারণা রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করা হয় ভোরে।' সেদিনের ওই হত্যাকান্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে আবরার ফাহাদের পিতা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় মামলা করেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়, বুয়েট শাখা ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। কি বিস্ময়কর কথা! এ নিয়ে রায় একটা হয়েছে। কিন্তু বুয়েটে এমন মারামারি ও হানাহানি এটাই প্রথম নয়। ২০২১ খ্রীষ্টিয় সালের ৮ ডিসেম্বর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এর আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তালিকা পড়ে বুঝতে পারা যায় কেন ছাত্ররাজনীতি এখন আর আগের সৌন্দর্য পথে নেই। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন : বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সিই বিভাগ ১৩তম ব্যাচ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫তম ব্যাচ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫তম ব্যাচ, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং ১৬তম ব্যাচ, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ১৫তম ব্যাচ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, বায়োমেডিক্যাল  ইঞ্জিনিয়ারিং ১৬তম ব্যাচ, আরও আছেন সদস্য মুনতাসির আল জেমি, এমআই বিভাগ, সদস্য মোজাহিদুর রহমান, ইইই বিভাগ ১৬তম ব্যাচ, সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা, এমই বিভাগ ১৭তম ব্যাচ, সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম, সিই বিভাগ ১৭তম ব্যাচ, শামীম বিল্লাহ, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ১৭তম ব্যাচ, মাজেদুর রহমান মাজেদ, এমএমই বিভাগ ১৭তম ব্যাচ, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচ, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, ইইই বিভাগ ১৬ ব্যাচ, এস এম নাজমুস সাদাত, এমই বিভাগ ১৭ ব্যাচ, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এমই বিভাগ ১৭ ব্যাচ, মিজানুর রহমান, ওয়াটার রিসোসের্স ১৬ ব্যাচ, শামছুল আরেফিন রাফাত, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, কেমিকৌশল এবং এসএম মাহামুদ সেতু, কেমিকৌশল বিভাগ। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫জন আসামি হলেন: বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সিই বিভাগ ১৪ ব্যাচ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, মেকানিক্যাল তৃতীয় বর্ষ, আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সদস্য আকাশ হোসেন, সিই বিভাগ ১৬ ব্যাচ ও মোয়াজ আবু হোরায়রা, সিএসই ১৭ ব্যাচ। উল্লিখিত তালিকার সকলেই ছাত্র রাজনীতির দলীয় পদ পদবীধারী। এ প্রেক্ষিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হয়েছে। আবারও শুরু হওয়ার তৎপরতা চলছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি লেখক ও সুশীল সমাজের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে লেখালেখি আলোচনা আন্দোলন হচ্ছে। 

প্রসঙ্গ দীর্ঘ করে টেনে নেয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। একপক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছেন দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির জন্যে ছাত্র রাজনীতি চালু রাখা জরুরি। আমি মনে করি, ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্যে রাজনৈতিক দলের অধীনে ছাত্র সংগঠন থাকতে হয় না। যদি প্রত্যেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা হয়, তখন সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পছন্দের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট মেয়াদে ছাত্র সংসদের নেতৃত্ব তুলে দেবে এবং তারাই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্যে নিজের মেধার পরিচয় দিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লেখাপড়া শেষের পরে দেশের নানান ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। এতে করে ছাত্র জীবনে রাজনীতির পদ পদবীর লোভে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হবে না। ছাত্র সংগঠনের প্রভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মারামারি হানাহানি হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে না। শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্র সংসদ থাকলে ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলতে পারা সহজ হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে নির্ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অন্বেষণ করে সময় মতো জ্ঞান অর্জন করে পরিবার ও সমাজের এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করবে। আজকের বিশ্বে দেশে দেশে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখি, পার্শ্ববর্তী সার্কভুক্ত দেশসমূহে এবং উন্নত বিশ্বের দেশে দেশে রাজনৈতিক গণ সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিছিল করে না, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজপথে মিছিল করে না। সুস্থ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বহু বিষয়ে জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাবেই দেশের ও বিশ্বের রাজনীতি সচেতন হয়ে উঠে। এর জন্যে ছাত্র ছাত্রীদেরকে গণ রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত হতে হয় না। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, কনজার্ভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি ইত্যাদি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কি ছাত্র জীবনে ওইসব রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে মিছিল করে নেতা হয়েছেন? ভাবতে হবে। শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে রাজনীতি সচেতন হয়ে গড়ে উঠুক এবং নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে শিখুক। শিক্ষার্থীরা গণ সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি না করে স্বাধীন চিন্তা নিয়ে পড়াশোনা করলে, দেশের যেকোনো দূর্যোগের সময় তারা নিজেরা ঠিক-ই সচেতন ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে লড়াই করবে।

 


লেখক : মোহাম্মদ আব্দুল হক কলামিস্ট