:: প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ::
এই ‘আমি’ ক্ষুদ্র ব্যক্তি, সবাই বলে বড় শিক্ষক। দেশে-বিদেশে শিক্ষকতায় গেল ১ নভেম্বর আমি ৪৬ বছরে ঢুকলাম (আলহামদুলিল্লাহ)। বাংলাদেশের সিলেটের স্বনামধন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগেই একটানা ২৭ বছরের বেশি। আমার পিএইচডি গবেষণার থিসিসের মূল বিষয় ছিল ‘নারীবাদ’। যাকে সবাই বলে ‘নারী-অধিকার’। দীর্ঘ ৭টি বছর ধরে গবেষণা করতে হয়েছিল ফিকশনের নারী-চরিত্র বা নায়িকা-চরিত্রগুলোর উপর। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হয়েছিল ‘উইমেন-সাইকোলোজি’ বা নারীর মন-মানসিকতা ও মনস্তাত্বিক বিষয়াদির উপর। লাইনে লাইনে অধ্যয়ন করতে হয়েছিল বৃটিশ ফিকশন, ফ্রেঞ্চ ফিকশন, আমেরিকান ফিকশন, জার্মান ফিকশন, রাশ্যান ফিকশন, আফ্রিকান ফিকশন, ডায়াস্পরা ফিকশন ইত্যাদি।

তারপরও নিস্তার নাই। অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে গিয়ে অমুক অমুক বই-জার্নাল এক সপ্তাহ পড়ে এসে রিপোর্ট করো। অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুক অমুক অধ্যাপকের কাছে যাও, গাইডলাইন নিয়ে এসে রিপোর্ট দাও। বিজ্ঞ-নিষ্ঠুর সুপারভাইজারের এবারের নির্দেশ- দেশের বাইরে যেতে হবে। অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি দেখে আস, আর অমুক অমুক প্রফেসরের সাজেসন্স ও গাইড-লাইন নিয়ে এসো (অর্থাৎ, ডাটা-কালেকশন)। কাকুতি-মিনতি করে বললাম, ‘ম্যাডাম, ৭ বছর তো বিদেশে শিক্ষকতা করেছি, বিদেশি অনেক ফিকশনের রেফারেন্স আমি দিতে পারব; তাই, যদি দয়া করে একটু রেহাই দেন।’ আল্লাহ’র শুকরিয়া, উনি রাজি হয়ে গেলেন এক শর্তে- ‘সঠিক জায়গায় সঠিক রেফারেন্স পুট করতে পারবেন তো’? কত দিন যে ভেবেছি- আমার কপালে বোধ হয় পিএইচডি নেই, অবশেষে এই একটিমাত্র ডিগ্রি ভাগ্যে জুটল ৭ বছর পর।


উপরের কথাগুলো বলতে হয়েছে এ লেখার শিরেনামের প্রয়োজনে। নোবেল বিজয়ী মালালা। গোটা বিশ্ব জানে তার ইতিকথা। ওগুলোতে আমি হাতই দেব না। শিক্ষামূলক কাজে গ্রামের বাড়িতে ছিলাম এক সপ্তাহ। শহরে ফিরে অনলাইন পত্রিকায় ঢুকেই দেখি মালালার বিয়ে হয়েছে। উৎসাহের কমতি তো নেই, ঘাটাতে ঘাটাতে তাবৎ কিছুই জানলাম।

তথাপি, আমার জানার মধ্যে ঘাটতি তো থাকতেই পারে। কারণ, আমি আমার স্বদেশে। আর কোথায় সাতসমুদ্র তের নদীর ওপারে মালালা, জীবনে যে মেয়েটি বা তার পরিবারের সাথে আমার কোন দেখা-সাক্ষাৎ নেই, শুধুই মিডিয়া-মাধ্যম ছাড়া।

তবুও ঊষ্ণ অভিনন্দন জানাই মালালাকে। ধন্যবাদ জানাই তার পরিবারকে, যারা তার স্বীয় স্বাধীনতা, ব্যক্তিত্ব, পছন্দ-সিদ্ধান্তকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে তার আগানোর পথে তাকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। যা যে কোন দেশের একটি আলোকিত পরিবারের বৈশিষ্ট্য। সাধুবাদ ও মোবারকবাদ জানাই তার শুভাকাঙ্খিদেরকে, আর সব শেষে দোয়া ও আশির্বাদ জানাই তার বরকে, তথা এ দম্পতিকে। ধারে-কাছে থাকলে মালালা হয়তোবা আমার কোন এক নাতিনের মতোই হত।
 
নোবেল বিজয়ী এ অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট ইতিমধ্যেই তার নিজের লিখা ৪/৫ টি বই বিশ্ববাসীকে উপহার দিতে পেরেছে। তার কষ্ট গেছে, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে সে লড়েছে, পেয়েছে বিশ্ববাসীর সহমর্মিতা ও মানবতা। সে গুলি খেয়েছে- এটা তার কোন সফলতা নয়, তার প্রথম সফলতা হলো- সে নারীশিক্ষা বা নারী-অধিকার-আন্দোলনের অগ্রদূত হিসেবে আভির্ভূত হয়েছে এমন একটি অন্ধকার জায়গা থেকে, যেখানে নারী অধিকার বা নারীশিক্ষার কোন বালাই তো নেই-ই, বরং যেখানে শিকড় পেতে আছে কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা। যেখানে নারীকে মূল্যায়ন করা হয় মানুষ বা ব্যক্তি হিসেবে নয়, বরং শুধুই নারী বা পণ্য হিসেবে। আমার স্বীয় গবেষণা আমাকে শিখিয়েছে- মালালা যে ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছে এবং বিয়েটা করতেও পেরেছে- এটা তার আরেকটি সফলতা। তার পরবর্তী সফলতা হলো- সে বিয়ে করেছে তার নিজের পছন্দের নায়ককে এবং স্বীয় সিদ্ধান্তে। এ ক্ষেত্রে সে ৫০০% সফল। এ ক্ষেত্রে তার মিশনের বাস্তব প্রতিফলনও ঘটেছে। সে বিয়ে করেছে পারিবারিকভাবে। এটাও তার একটি সার্থকতা। পিতৃতান্ত্রিকতা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পেরেছে- এটাও তার সাফল্যের একটা বিরাট পরিচয়। আবার নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার-শিকড়, সব কিছুকে সে ধরে রেখেছে, এটাও তার বিরাট অর্জন।

মালালা ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করেছে- এটাও তার একটি সফলতা এবং তার বয়সটাই প্রমান করে এ বিয়ের সার্থকতা। নারী মনস্তত্তের দিক থেকে অর্থাৎ আমার গবেষণা অনুযায়ী, একজন নারীর চুড়ান্ত জৈবিক চাহিদা থাকে ২০ এর পর থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত। নানা মুনির নানা মত থাকতেই পারে, তবে মালালার বয়স এবং বিয়ে দু’টোই হচ্ছে সময়োপযোগী। কারণ, আমাদের লেখক-সাহিত্যিকগন তো আলঙ্কারিকভাবে বলে উঠবেন- ‘ষোড়শী/অষ্টাদশী যুবতী’। হয়ত এ কারণেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এতো বড় জমিদার হয়েও তাঁর ছোট মাতৃহীনা মেয়ে মীরা দেবীকে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়েছিলেন। তখনকার সমাজ এবং সময়ের দাবি নিশ্চয়ই ওরকম ছিল। কিন্তু ফ্যামিনিজমের এক্টিভিষ্টরা বা নারীবাদি নারীরা কখনো পুরুষ-বিদ্বেষী হন না। যথাসময়ে ছোট-বড় পারিবারিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ে করতে পারা- এখানেও মালালা সফল।

আর, সকল নারীবাদী নারীরাও অপরাপর নারীদের মতোই সময়মত আশা করেন স্ত্রীত্ব এবং মাতৃত্ব। বিয়ের মাধ্যমে এ দু’টোতে তাদের নারী-চাহিদার সিংহভাগই পেয়ে যান বলে তারা আশ্বস্থও থাকেন।

নারীবাদের ভাষায়:  “Feminist women are never men-haters. They always welcome both wifehood and motherhood; but as regards motherhood, they are more or less reserved, they are for TWOs and THREEs, and not in TENs and TWELVEs”। অর্থাৎ, নারীবাদী নারীরা আদতে পুরুষ-বিদ্বেষী নন। তাঁরা স্ত্রীত্ব এবং মাতৃত্ব উভয়টাই আলিঙ্গন করেন; তবে মাতৃত্বের বেলায় তাঁরা খানিকটা সীমবদ্ধতার পক্ষে। তাঁরা চান দুই বা তিন সন্তান, কখনো তাঁরা দশ/বার সন্তানের পক্ষে নন। এ কথাগুলোর পক্ষে আমরা সকল পুরুষরাও অবশ্যই একমত থাকব।

আর, বস্তুবাদী নারীবাদীরা (materialist feminists) আরো এক ধাপ এগিয়ে। তাঁরা দাবি করেন, পেটে সন্তান ধারণ, বহন, দুগ্ধপান করানো, লালন-পালন ইত্যাদি সবই paid jobs, অর্থাৎ, অর্থের দিক থেকে ‘পারিতোষিকযোগ্য কাজ’। মহাবিজ্ঞান গ্রন্থ আল-ক্বোরআনও পরিষ্কারভাবে এ ইঙ্গিত দিয়েছে। কারণ, এ কাজগুলোতে পুরুষগণ অবলীলায় অক্ষম। তবে ‘মা’ হয়ে স্ত্রী তো আর প্রতিটি সন্তানের বেলায় এবং মাসে মাসে স্বামীর কাছে বেতন চাইতে পারেন না। আর এ জন্যই ইসলাম নারী বা মায়ের সম্মনার্থে একেবারে গোড়ায় কেটে দিয়ে বলে দিয়েছেঃ আল ক্বোরআনের ভাষায় : “তোমরা (পুরুষরা) তোমাদের স্ত্রীদের ফরজ দেন-মোহর সন্তুষ্টচিত্তে (অগ্রিম) দিয়ে দাও”। এখন স্ত্রী এক সন্তান নেক আর ১০ সন্তান নেক- এটা তার এবং তার স্বামীর সার্বিক সক্ষমতার ব্যাপার।

আমার গবেষণার এক পর্যায়ে উঠে এসেছিল, মানব-ইতিহাসের সর্বপ্রথম নারীবাদী সাহসী লেখিকা হচ্ছেন বৃটিনের ম্যারি ঊলস্টোনক্রাফ্ট (১৭৫৯-১৭৯৭)। নারী-অধিকারেরে উপর তাঁর হৈচৈ তোলা প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৭৯২ সালে। আমার এ গষেণায় ২৭ জন নারীবাদী লেখিকার নাম উঠে এসেছে। এখানে এ উপমহাদেশের শুধু একজনের নাম রয়েছে, তিনি আর কেউ নন, তিনি মালালা ইউসুফজাই। ২৭ জনের মধ্যে তিনি আছেন ২৫ নম্বরে। ২৪ বছর বয়সের একজন মেয়ের পক্ষে সিরিয়ালে ২৫ নম্বর স্থান দখল করা চাট্টিখানি কথা নয়। আর এ ২৭ জনের মধ্যে বেশিরভাগই আমেরিকান, বৃটিশ এবং ফ্রেঞ্চ। আমার এ প্রথমদিকের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, ঊলস্টোনক্রাফ্টের পূর্বে কোন মানব-লেখক নারী-অধিকার নিয়ে কিছুই লিখেন নি। তবে এ গবেষণা যে একটা ভুল গবেষণা ছিল, অল্পদিন পরেই তা আবার আমার নিজ গবেষণাতেই ধরা পড়েছে।

আমি আমার গবেষণায় ঊলস্টোনক্রাফ্টের অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে পেছন দিকে অর্থাৎ অতীতের দিকে যেতে থাকলাম। পেয়ে গেলাম ষোড়শ শতাব্দীর ইংরেজ লেখিকা ‘জেইন এঙ্গার’কে। নারী-অধিকারের উপর তাঁর লিখা প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছিল ১৫৮৯ খৃষ্টাব্দে। ১৬০৪ সালে পেলাম ফ্রেঞ্চ লেখিকা ‘ম্যারি দ্য গৌর্নে’কে এবং ১৬৪১ সালে আবিষ্কার করলাম ডাচ্ কবি ‘এ্যনা ভ্যান স্কোরম্যান’-কে। ১৬৭৩ এ আসলেন ফরাসি ক্যথলিক ধর্মযাজক ‘পৌলেন ডি লা ব্যারে’ এবং একই বছরে আবার আসলেন ইংল্যাণ্ডের ‘বাথসুয়া ম্যাকিন’। ১৬৯৪-তে পেলাম ইংরেজ দার্শনিক ‘ম্যারি এ্যাস্টেল’-কে। অর্থাৎ,ঊলস্টোনক্রাফ্ট-ই নারী অধিকারের উপর প্রথম লেখক নন।

যেতে থাকলাম আরো অতীতে। গবেষণার এক পর্যায়ে পেয়ে গেলাম নারীশিক্ষা ও নারী অধিকারের উপর মানব-লিখিত সর্বপ্রথম দু’টি পুস্তিকা, যেগুলোর লেখক হলেন ফরাসি নারী লেখক ‘খৃষ্টাইন দ্য পীযান’। তাঁর পুস্তিকা দু’টি পর পর প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৯৯ ও ১৪০০ সালে। এর পূর্বে নারী-শিক্ষা, নারী-অধিকার ও মানুষ হিসেবে নারীর মূল্যায়নের উপর মানব-লিখিত আর কোন লেখক বা বইয়ের নাম জানা বা পাওয়া যায় নি; অর্থাৎ, নেই।

অতএব, নিদ্বির্ধায় বলা যায়ঃ মহাবিজ্ঞান ঐশীগ্রন্থ আল-ক্বোরআনই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে গোটা মানব জাতির জন্য একমাত্র প্রগতিশীল বই, যা ৬ষ্ট/সপ্তম শতাব্দিতেই নারীশিক্ষা তথা নারী-অধিকারসমূহের বিস্তারিত বর্ণনা ও বন্টন দালিলিকভাবে করে দিয়ে লিঙ্গভেদে সকলের অংশীদারিত্বের জটিল বিষয়টিরসমূহ সমাধান নিশ্চিৎ করে সীলমোহর করে দিয়েছে। যাতে মানুষ অযথা বিপদে না পড়ে এবং অহেতুক হয়রানির শিকার না হয়। নবী করীম (সাঃ) এর বিদায় হজ্বের পবিত্র ভাষনের অধিকাংশ জায়গাই জুড়ে আছে নারীর অধিকার ও সম্মানের বিষয়গুলো। তাই, মানব যদি নারী বা পুরুষের অধিকারের ব্যাপারে নিজের বুদ্ধি প্রয়োগ না করত, তাহলে সমাজে কোন বিশৃঙ্খলাই থাকত না।

আমার গবেষণার আবিষ্কারসমূহের (findings) মধ্যে একটি  হচ্ছে- ‘নারী-পুরুষ কখনো সমান নয়, নারীর অধিকার ও মর্যাদা সকল সময়ে পুরুষের চাইতে ঢের ঢের বেশি’। হায় নারী! স্বার্থপর পুরুষ তো আপনাকে ঠকাতে চাইবেই; আর, ঠকানোর হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সস্তা নারী-জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্যই বলে- “নারী-পুরুষ সমানাধিকার”। আর, আপনারা নারীরাও এ শ্লোগানে মহাখুশি।  তবে আপনারা যদি আপনাদের সুউচ্চ মর্যাদা ও সুউচ্চ আসনের কথাসমূহ জানতেন, তাহলে স্বীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন না, আর নির্যাতিতাও হতেন না; আর, পুরুষের সমানও হতে চাইতেন না; কারণ, কেউ কখনো নিজ সম্মানের নিচে নামতে চায় না। তখন পুরুষগণ আপনাদেরকে মাথায় তুলার মত সম্মানে রাখতে বাধ্য হত। নারী হওয়াটাই যে একটি বড় ডিগ্রি- তা, না জানে পুরুষ, আর না জানে নারী। আর তাই, পদে পদে বিপদ, পদে পদে জঞ্জাল।

পরিশেষে আবারো মালালা। হে মালালা, আমি আপাদমস্তক একজন শিক্ষক, এটুকুই আমার বড় গৌরব। তোমার এটুকু বয়সে বিশ্ব তোমাকে যে সম্মান দেখিয়েছে, তুমি তার প্রতিদান বিশ্ববাসীকে দিও। কোন অবস্থায় কোন দিন তুমি ফিকশনের ‘ক্ল্যারা ডয়েস’ বা ‘আর্সালা ব্রেংওয়েন’ বা ‘ল্যাডি চেটার্লি’র মত নতজানু হয়োনা। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর তৈমূরের ভাষায় “সস্তা” হয়ে যেয়ো না, তোমার মিশনে তুমি আপোষ করো না। আর, তোমার বরের উদ্দেশ্যে বলছিঃ ওহে ভাগ্যবান ছেলে, তুমি তোমার মালালাকে তার মিশনে ৫০০% সহযোগিতা করো আজীবন, তোমার নিজের জীবনের মিশনকেও তুমি অবশ্যই পূর্ণাঙ্গতা দেবে। এখানেই হবে তোমার পুরুষত্বের প্রমান।

আর, দু’জনের উদ্দেশ্যেই বলছিঃ “Grow old along with me/The best is yet to be/ The last of life for which/The first was made”, অর্থাৎ, কবির ভাষায়- “আামার সাথে তুমিও বৃদ্ধ হও/জীবনের পূর্ণাঙ্গতা আসতে এখনো বাকি/জীবনের শেষাংশের জন্যই/জীবনের প্রথমাংশের সৃষ্টি”।

এর সহজ অর্থ হচ্ছেঃ যে শৈশব ব্যক্তিকে কৈশোরে পৌঁছাতে পারে নি, সে শৈশব ব্যর্থ, যে কৈশোর ব্যক্তিকে যৌবনে পৌঁছাতে পারে নি, সে কৈশোরও ব্যর্থ; যে যৌবন ব্যক্তিকে বার্ধ্যকে পৌঁছাতে পারে নি, সে যৌবনও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আল্লাহ্ হাফেয।

লেখক :  প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ, সাবেক ও প্রতিষ্ঠাকালীন ২৪ বছরের বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ, শাবিপ্রবি।