উত্তর কোরিয়ায় গত তিন দিনে ৮ লাখ ২০ হাজার ৬২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৫০ জন। আজ রোববার জ্বর নিয়ে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছ বার্তা সংস্থা এএফপি।

গত বৃহস্পতিবার করোনায় প্রথম মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দেশব্যাপী লকডাউনের আদেশ দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তিনি বলেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব উত্তর কোরিয়ায় ‘‘মহা বিপর্যয়’’ সৃষ্টি করেছে।


কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সব প্রদেশ, শহর ও কাউন্টিগুলো সম্পূর্ণরূপে লকডাউন করা হয়েছে। অফিস, কারখানা এবং আবাসিক এলাকাগুলোতেও পারস্পরিক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের টিকা দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ‘সর্বোচ্চ জরুরি কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা’ কঠোরভাবে মানার মাধ্যমে সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার পরও উত্তর কোরিয়ায় প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার দুই বছর পর গত বৃহস্পতিবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর জানায় উত্তর কোরিয়া সরকার।
এরপর দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার স্বাস্থ্য সেবাব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক এবং বিশ্বের অন্যতম খারাপ স্বাস্থ্য সেবাব্যবস্থার একটি। দেশটিতে করোনার টিকা নেই, দ্রুত সংক্রমিত রোগের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ওষুধ নেই এবং করোনার গণপরীক্ষার সক্ষমতা নেই।

এর আগে চীনের করোনার টিকার প্রস্তাব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। নতুন করে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার কাছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/আরআই-কে