বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম জানাজা শুক্রবার (২০ মে) স্থানীয় সময় বাদ জুমা লন্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

 


মরদেহ মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছলে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজায় ইমামতি করেন ব্রিকলেন জামে মসজিদের খাতিব নজরুল ইসলাম।

 

আব্দুল গাফফর চৌধুরীর জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ থেকে আসা সাবেক মন্ত্রী শামসুল হক টুকু, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাহিত্যিক-সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা।

 

অন্যান্যের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সেক্রেটারি সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য জাসদের সেক্রেটারি সৈয়দ আবুল মনসুর লিলু, ন্যাপের সভাপতি আজিজুর রহমান, ইউকে বাংলা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি মতিয়ার চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শাহেদ রহমান, লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আবু মুসা হাসান, সৈয়দ আনাছ পাশা, মুসলেহ উদ্দিন আহমদ, সালেহ আহমদ, সেক্রেটারি তাইছির মাহমুদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির লন্ডনের সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, উদীচির হারুনুর রশিদ, যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের পক্ষ থেকে হাজী আব্দুল হান্নান, আশরাফুজ্জামান, সেভেন মার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাবেক কাউন্সিলর নূরুদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে লোকমান আহমদ, আহবাব চৌধুরী, ফয়েজুর রহমান খান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কাউন্সিলার সেলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নূরুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি আলিমুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সিসার্স কাউন্সিলের এম এ আজিজ, যুক্তরাজ্য যুবলীগের জামাল খান, সেলিম আহমদ খান, কাউন্সিলারদের মধ্য থেকে বারকিং অ্যান্ড ডাগেনহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মঈন কাদরী, নিউহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

 

 শুক্রবার বাদ জুম্মা ১টা৪৫ মিনিটে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আবদুল গাফফার চৌধুরীর ছেলে অনুপম চৌধুরী সবার কাছে বাবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, আমার বাবা সারাজীবন বাংলাদেশ ও মানুষের জন্য লিখেছেন, কথা বলেছেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

জুম্মার পর আবহাওয়া ভালো হওয়ায় মরদেহ নিয়ে আসা হয় আলতাব আলী পার্ক শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। হাজারো মানুষ তাদের এই প্রিয় লেখককে বিদায় দিতে আসেন। আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢেকে রাখা হয় বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে। যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ফুল দিয়ে শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এরপর একে একে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শেষ বিদায় জানায় তাদের প্রিয় লেখককে।

 

শুক্রবার বিকালের মধ্যে মরদেহ হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নিয়ে আসা হয় ব্রিকলেন জামে মসজিদের হিমাঘারে।

জানা গেছে, মরদেহ বাংলাদেশে নেয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে। খুব দ্রুত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। শায়িত করা হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শায়িত করা হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় সকাল ৬টা৪৯ মিনিটে বার্নেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রখ্যাত সাংবাদিক।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পিডি