ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে জাতীয় পতাকার ছবি ব্যবহারে নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 


রোববার (৩১ জুলাই) নরেন্দ্র মোদী ‘মান কী বাত’ বেতার অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান। সেখানে তিনি নাগরিকদের আগামী ২ আগস্ট থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত নিজেদের প্রোফাইল পিকচারে জাতীয় পতাকার ছবি রাখার কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি ‘হার ঘার তিরাঙ্গা’ বা ‘ঘরে ঘরে ত্রিবর্ণ’ নামের একটি সামাজিক প্রচারণা চালাতে চান। ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

 

তিনি বলেন, ১৮৭৬ সালের ২ আগস্ট জন্ম নিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকারী পিঙ্গালি ভেনকায়া। এ কারণেই হার ঘার তিরাঙ্গা মুভমেন্টের তারিখ হিসেবে ২ আগস্টকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, এরইমধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় পতাকাসংক্রান্ত নতুন আইন প্রনয়ণ করেছে। নতুন আইনে সেলাই মেশিনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা তৈরি করা যাবে ও এতে পলেস্টার, সুতি, উল, সিল্ক কিংবা খাদি কাপড় ব্যবহার করা যাবে। এমনকি, এবার জাতীয় পতাকার আকার ও টাঙিয়ে রাখার সময়সীমার ওপরও থাকছে না কোনো বিধিনিষেধ।

 

এর আগে, দেশটিতে জাতীয় পতাকা তৈরিতে সেলাই মেশিন ও পলেস্টার কাপড় ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। টাঙিয়ে রাখতে হতো সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

১৯২১ সালের ৩১ মার্চ কংগ্রেসের সম্মেলনে প্রথমবার ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকার বিষয়টি প্রস্তাব করেছিলেন ভেনকায়া। তার এ নকশা দেখে মুগ্ধ হয়ে মহাত্মা গান্ধি এটি মঞ্জুর করেন। ১৯৩১ সালে ভেঙ্কাইয়ার নকশা চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়। তখন অশোক চক্রের জায়গায় ছিল শুধু চক্র।

 

প্রায় ৩০টি দেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে পড়াশুনা করে ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা ভাবেন পিঙ্গালি ভেনকায়া। সব ধর্মের মানুষের কথা মাথায় রেখে পতাকায় গেরুয়া, সবুজ ও সাদা রঙের ছোঁয়া দিয়েছিলেন তিনি।

 

১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই সংবিধান সভায় ভারতের জাতীয় পতাকা প্রকাশ্যে আসে। এ দিন চক্রের পরিবর্তে যোগ হয় অশোক চক্র।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/এসডি-১২


সূত্র : জাগোনিউজ