সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নে শ্যামারচর গ্রামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশু (১৩) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মনিরুল নামের এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে দিরাই থানা পুলিশ। সে ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও সংখ্যালঘু পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রভাবশালী একটি চক্র হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।

 


জানা যায়, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ফুফুর বাড়ি থেকে আসার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে শ্যামারচর বাজারের টিটু দাস নামের এক ব্যক্তির ডেকোরেটার্সের দোকানে নিয়ে যায় মনিরুসহ কয়েকজন বখাটে।এসময় মেয়েটিকে হাতপা বেঁধে ধর্ষণ করে মনিরুল। এক পর্যায়ে মেয়েটি কান্না করতে থাকলেও মনিরুলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে মেয়েটি পরিবারকে জানালে তাঁকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। এই ঘটনায় মামলা করেছে শিশুটির পরিবার।


এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ি টিটুর উপস্থিতে তাঁর দোকানে এই জঘন্য কাজ হলেও রহস্যজনক কারনে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে তিনি। এই ঘটনার সাথে একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলেও বিষয়টি এখনো ধোঁয়াসার মধ্যে রয়েছে। 


ধর্ষিতা শিশুর বাবা ঘটনার বিষয়ে বলেন, আমার বোনে বাড়ি থেকে ফেরার পথে শ্যামারচর বাজারের টিটু দোকানে ডেকে নিয়ে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। আমি গরিব মানুষ। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। 


দিরাই সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় মুল অভিযুক্তকারীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। ভিকটিম তাকে সনাক্ত করেছে। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছেন  কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। যারা দোকানে ঘটনা ঘটেছে তাঁকেও আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/শনূআ/ইআ