বধিরতা একটি অভিশাপ। যারা জন্মগতভাবে কানে শোনেনা তারা কথা ও বলতে পারেনা।

"সবার জন্য কানের ও শোনার যত্ন এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৩ মার্চ পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব শ্রবণ দিবস"


 

বধিরতা বিষয়টি অনেকাংশে আমরা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে পারি সচেতনতার মাধ্যমে। কানে কম শোনার কারন গুলোর মধ্যে রয়েছে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি! অর্থাৎ জন্মবধির ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ, শব্দদূষণ, আঘাতজনিত কারন এবং বয়সজনিত।

এছাড়াও কিছু ওষুধ (অটোটক্সিক ড্রাগস) ডায়াবেটিস টিউবারকিউলোসিসের কারনেও বধিরতা আসতে পারে।
জন্মগত বধিরতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য ন্যাশনাল প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সিস্টেমে "ইউনিভার্সাল হিয়ারিং কেয়ার পদ্ধতি চালু করলে অনেকাংশে বধিরতা রোধ করা সম্ভব যা উন্নত বিশ্বে প্রচলিত আছে " কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর মাধ্যমে ইতিমধ্যে আমরা বহু জন্মবধির শিশুদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

এছাড়া বড়দের ক্ষেত্রে 'হিয়ারিং এইড' এবং শব্দদূষণকে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় আনতে পারলে বধিরতারোধ সম্ভব।
সিলেট অঞ্চলে সরকারি হিসেবমতে শ্রবণপ্রতিবন্ধীদর সংখ্যা ২৪০৫, বাকপ্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৩৩৫৪ এবং শ্রবন ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ২১৮ জন।

ওসমানী হাসপাতালে বিগত ২০২২ সাল থেকে চালু হওয়া "কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট" কার্যক্রমের আওতায় এযাবৎ ২৮ জনের অপারেশন হয়েছে এবং এদের ফলাফল খুবই আশাব্যঞ্জক।

সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ সরকারের সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এ কর্মসূচীকে আমরা সাধুবাদ জানাই।

 

লেখক: ডা. নুরুল হুদা নাঈম নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ পরিচালক কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেট।