মিয়ানমারের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা করতে বিমানের জ্বালানি দিয়ে সহায়তা করায় মিয়ানমারের দুই ব্যক্তি ও ছয় প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
 

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জঙ্গিবিমানের জ্বালানি সরবরাহ করা, আমদানি ও মজুত করতে সহায়তা করেছিল। এসব জঙ্গিবিমান দিয়ে বেসামরিক লোকজনের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।


২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচির সরকারকে সরিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা। এ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে দেশবাসী। জান্তাকে হঠাতে মিয়ানমারজুড়ে বিরোধীদলগুলো একজোট হয়ে মাঠে নামে। এর সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষও। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় জান্তা সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও সহিংসতা চালাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তাদের এই নৃশংস কর্মকাণ্ড আরও বেড়ে গেছে। যার ধারাবাহিকতায় জনবহুল এলাকাগুলোয় বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। মধ্য বার্মার একটি গ্রামে বিমান হামলায় একটি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডেস্ক/পল্লব-১০