সুনামগঞ্জের ছাতকে যুবলীগ নেতার হাতে যুবলীগ কর্মী লায়েক মিয়া (৪৫) খুনের ঘটনায় এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনার রাতেই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মর্চ) দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এদিকে, ময়না তদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। পরে রাত ১০টার দিকে জানাযা ও দায়ন সম্পন্ন হয়। 


এসব তথ্য বৃহস্পতিবার সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির। 

গত মঙ্গলবার রাতে ছাতক থানাসংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ খুনের ঘটনা ঘটে।

পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কদ্দুছ শিপলুর হাতে ছুরিকাঘাতে লায়েক মিয়া (৪৫) নামের এক পৌর যুবলীগ কর্মী খুন হন। লায়েক ছাতক পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের মণ্ডলীভোগ গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খেয়াঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ কর্মী লায়েক মিয়া। এ সময় লায়েক মিয়াকে অতর্কিতভাবে কয়েক দফা ছুরিকাঘাত করেন পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল কদ্দুছ শিপলুসহ তার সহযোগীরা।

স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত লায়েককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মণ্ডলীভোগ এলাকার লাল মসজিদ কমিটি নিয়ে লায়েক মিয়া ও একই গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে আবদুল কদ্দুছ শিপলুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

ঘটনার রাতেই বাজার থেকে এরশাদ ও তাজউদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ডালিম