সিলেটের ঐতিহ্য আসাম ধাঁচের বাড়ি এবং চাঁদনীঘাটের ঘড়ির আদলে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় সিলেটের কদমতলী আধুনিক কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে আধুনিক এই বাস টার্মিনাল নির্মাণ কাজ পায় দেশের আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালী কনস্ট্রাকশন।
 

নির্মাণ শেষে বাস টার্মিনালটি এখন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে বাস টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করতে তড়িগড়ি করে টেন্ডার আহবান করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। প্রথম টেন্ডার স্বল্প সময়ে (সপ্তাহের মধ্যে) মাত্র ৪০ লাখ টাকায় ছেড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সিসিক।  


সম্প্রতি পুনরায় করা টেন্ডার পায় ৯৬ লাখ টাকায়। অথচ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, এই প্রকল্পটি নির্মাণ সংস্থা নাকি সিসিকের কাছে এখনো হস্তান্তর করেনি।

নবনির্মিত এই কদমতলী আধুনিক বাস টার্মিনাল উদ্বোধনের আগেই ত্রুটি ধরা পড়তেই তড়িগড়ি করে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন মেয়র।  শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনের সভা কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ত্রুটির বিষয় তুলে ধরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, কাজে গাফিলতি খতিয়ে দেখতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

কদমতলী বাস টার্মিনাল ভবনের বাইরের ওয়ালের উপরের অংশে ত্রুটি (ফাটল) দেখা দেওয়ায় এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ৬ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
 
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২ এপ্রিল) সিসিকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলমকে আহবায়ক করে ৬ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি ঘোষনা করেছে সিসিক। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, এলজিইডি সিলেট বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর। 

নবনির্মিত কদমতলী বাস টার্মিনাল ভবনের বাইরের ওয়ালের উপরের অংশে ত্রুটি (ফাটল) সরেজমিনে তদন্তপূর্বক ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা এই টেকনিক্যাল কমিটির।

 


সিলেটভিউ২৪ডটকম/পল্লব-২২