আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার এবারের লন্ডন সফরের প্রথম দিন থেকে ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব দেখিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি তামিম আহমদ ভাই এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সজীব ভুইয়া ভাই।
প্রথমদিন থেকেই নেত্রীর অবস্থানরত হোটেলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মী স্লোগানে স্লোগানে ঐ এলাকা প্রকম্পিত করে তোলছেন। নেত্রীর সফরকে ঘিরে লন্ডনে অবস্থানরত মাফিয়া ডন খাম্বা তারেক রহমানের নির্দেশে তার সহযোগী মালেক বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরীর সুযোগ খুজছিলো। তবে তামিম-সজীবের নেতৃত্ব যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের দুশতাধিক নেতাকর্মীরা নেত্রীর ভ্যানগার্ড হয়ে তাদের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানায়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে এবং তামিম ভাই-সজীব ভাইয়ের সঠিক পরিচালনায় যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ ছিলো সুবিন্যস্ত, সুশৃংখল। তামিম ভাই - সজীব ভাইয়ের আগুন ঝরানো স্লোগান ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে করেছে উচ্ছ্বসিত, অন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যুগিয়েছে সাহস এবং তারেক-মালেকের চামচাদের বুকে ধরিয়েছে কাপন। আর তাইতো দেশদ্রোহী তারেকের নির্দেশে জলঘোলা করতে হাতেগোনা মুস্টিমেয় যে ৮-১০জন এসেছিলো তারা সবাই-ই নেত্রী হোটেলে পৌছার আগেই সরে গেছে নিরাপদ আস্তানায়।
ছাত্রলীগের এবারের উপস্থিতি, সুবিন্যস্ত এবং সর্বোপরি সুশৃংখল আচরণে মুগ্ধ হয়ে অভিভাবক সংগঠন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ ভাই তামিম ভাই - সজীব ভাইকে কাছে ডেকে নিয়ে বলেছেন- "ছাত্রলীগের এবারের উপস্থিতির সংখ্যাই প্রমাণ করে তোমরা সাংগঠনিকভাবে কতোটা শক্ত। তোমাদের উপস্থিতি আমাদের প্রেরণা দেয়, সাহস পাই। তোমরাই-তো নেত্রীর প্রকৃত ভ্যানগার্ড। তামিম-সজীবকে অনেকদিন পর একসাথে দেখলাম। তোমাদের দুজনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সুবিন্যস্ত এবং সুশৃংখল।"
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদ ফারুক ভাই ছাত্রলীগের কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়ে ফেইসবুকের একটি পেইজের এডমিনের কোন এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন- "এটা আমেরিকা নয়, এটা যুক্তরাজ্য তথা লন্ডন। এই লন্ডনে কুখ্যাত আসামী তারেক রহমানের নির্দেশে কেউ বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে দাতভাংগা জবাব দেওয়া হবে। একপর্যায় তিনি বলেন, দেশদ্রোহী যারা হোটেলের সামনে এসেছে তারা বিশৃংখলা করলে তাদের শায়েস্তা করতে তামিম-সজীবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট।"
এছাড়া নেত্রী হোটেলে পৌছার পর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নেত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে হোটেল থেকে বের হয়ে প্রথমেই ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে ছুটে আসেন। এসময় উনারা তামিম ভাই - সজীব ভাইকে জানান, নেত্রী এখানে উপস্থিত সকল সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের কথা জিজ্ঞাসা করেছেন। উনারা তামিম ভাই - সজীব ভাইকে জানান, নেত্রীর কাছে ছাত্রলীগের কথা বলেছেন।
শুধু যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নন, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন যুক্তরাজ্য যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। আর যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে ক্যারিশম্যাটিক দুই নেতা তামিম ভাই - সজীব ভাইয়ের অসাধারণ নেতৃত্বগুণে।
যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের সভাপতি তামিম ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক সজীব ভূইয়া ভাইকে।
লেখক: সাংবাদিক ও সহ-সম্পাদক, যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগ।