লেখক: ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল

কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্চয়কে যদি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির করা সম্ভব হয়, তবে কর্মসংস্থান এবং জনগণের আয়স্তর বৃদ্ধি পায়। এতে সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দারিদ্রতা হ্রাস পায়। দেশীয় উদ্যোগতাগণের বিনিয়োগের মাধ্যমে অথবা প্রবাসীগণের বিনিয়োগের মাধ্যমে অথবা বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে যদি উৎপাদন বৃদ্ধি পায় তবে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও আত্মনির্ভরশীল হবার জন্য বিরাট ভূমিকা রাখে।

বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায বৈদেশিক বিনিযোগের একটি বিরাট অবদান রয়েছে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ থাইল্যান্ড, মালোয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নে বৈদেশিক বিনিয়োগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং কোন দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া এবং বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকে আকৃষ্ট করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির দিকে আলোকপাত করলে দেখা যায়, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জি.ডি.পি ছিলো প্রায় ২৭ লাখ ৭২ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানীর পরিমাণ ছিলো প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সাল এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ২৪,৫৩৮ কোটি টাকা এবং ২২,২৩০ কোটি টাকা। দেশের অর্থনীতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিলো (পি.পি.পি) প্রায় ৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ২০২০ সালে গণচীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে ১২,০৭,২৬০ কোটি টাকা ৪,৩২,৬৩০ কোটি টাকা, ২,০৪,৩৪৫ কোটি টাকা এবং ১,৩৭,৬৫৫ কোটি টাকা।


বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈদেশিক বিনিয়োগের গুরুত্বের বিষয়টি অনুধাবনের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ মালোয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের প্রসঙ্গে আলোকপাত করা যাক। একসময় দেশ তিনটির অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন উন্নত ছিলো না। প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগের ফলে দেশগুলোর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে এবং অতি দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
প্রথমে মালোয়েশিয়া প্রসঙ্গে আলোকপাত করা যাক। ১৯৮০ সালে মালোয়েশিয়ার বাৎসরিক মাথাপিছু আয় ছিলো প্রায় ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ১৯৯০ সালে মাথা পিছু আয় ছিলো প্রায় ৫ লাভ ৫৯ হাজার টাকা। ২০০০ সালে মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ২০১০ এবং ২০২০ সালে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে প্রায় ১৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং প্রায় ২৫ লাখ ৯ হাজার টাকা। জাপান, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর এবং তাইওয়ান মালোয়েশিয়ায় প্রচুর পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। মালোয়েশিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ এবং ২০২০ সালে জি.ডি.পি ছিলো প্রায় ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। ১৯৮০ সালে, ১৯৯০ সালে এবং ১৯৯৬ সালে মালোয়েশিয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা, ৩৬,০৭০ কোটি টাকা এবং ৩৮,৮৮০ কোটি টাকা। এর মাঝে ১৯৯০ এবং ১৯৯৬ সালে শুধুমাত্র জাপানের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৮,৬১৫ কোটি টাকা এবং প্রায় ৯,৪২৬ কোটি টাকা। মালোয়েশিয়াা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে ছিলো ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে জাপান, দক্ষিণকোরিয়া সহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগ। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ানের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মালোয়েশিয়াতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বেশীরভাগ সময় মালোয়েশিয়ার ইলেকট্রকিক্স শিল্পের মোট বিনিয়োগের ৮০% এর বেশী ছিলো বৈদেশিক বিনিয়োগ। মালোয়েশিয়ার মোট রপ্তানীর প্রায় ৫০% হলো ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী। ২০২০ সালে মালোয়েশিয়াতে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৭৮,২৬৭ কোটি টাকা। ১৯৮০ সালে জাপানের বিনিয়োগের ফলে মালোয়েশিয়ার শিল্পখাত বিকাশ লাভ করে এবং দেশটির লক্ষ্য ছিলো ২০২০ সালের মাঝে আত্মনির্ভরশীল শিল্পোন্নত দেশ হওয়া। মালোয়েশিয়াতে “প্রোটন” এবং “পেরোডুয়া” নামক গাড়ী উৎপাদিত হচ্ছে এবং এ শিল্পে প্রায় ৭ লাখ লোক কর্মরত রয়েছেন। দেশীয় এবং বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ উদ্যোগে অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিলো প্রায় ৯%। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত বৈদেশিক বিনিয়োগের কারণে। ১৯৯৬ সালে শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্স শিল্পে মালোয়েশিয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে মালোয়েশিয়ার মোট রপ্তানীর পরিমাণ ছিলো প্রায় ২০ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা এবং এর প্রায় ৩৭% ছিলো ইলেট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যবিক্রয়ের মাধ্যমে। দক্ষ জনবল, প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা, তুলনামূলক স্বল্প মজুরী ব্যয়, উন্নত জীবনযাত্রার মান, ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থা, সরকারেরবৈদেশিক বিনিয়োগ নীতি ইত্যাদি মালোয়েশিয়ায় বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে।

এবার আসা যাক থাইল্যান্ডের প্রসঙ্গে। থাইল্যান্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৭ কোটি এবং ২০২০ সালে দেশটির জি.ডি.পি ছিলো প্রায় ৪২ লাখ ৯১ হাজার কোটি টাকা। ১৯৮০, ১৯৯০, ২০০০, ২০১০ এবং ২০২১ সালে থাইল্যান্ডের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ছিলো যথাক্রমে প্রায় ১,৩৬,৮০০ টাকা, ৩,৬৪,২৩০ টাকা, ৬,১২,১৮০ টাকা, ১০,৮০,৭২০টাকা এবং ১৬,২৪,৮৪২ টাকা। ১৯৯০, ১৯৯৮, ২০১০, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে প্রায় ২০,৮৯৬ কোটি টাকা প্রায় ৬২,৫৩৪ কোটি টাকা প্রায় ১,২৬,০৮৬ কোটি টাকা, প্রায় ১,১২,৭৪০ কোটি টাকা এবংপ্রায় ৪৭,১৭৭ কোটি টাকা। ২০২০ সালে থাইল্যান্ডের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিলো প্রায় ১৯ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এ রপ্তানীর প্রায় ৪২% ছিলো গাড়ী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং জি.ডি.পি এর প্রায় ৪৬% ছিলো দেশটির রপ্তানী। জাপান, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর থাইল্যান্ডে অন্যতম বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র। ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে জাপানের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৫৭,২৮৫ কোটি টাকা। জাপান অটোমোবাইল শিল্প, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক প্রভৃতি শিল্পে থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। বর্ধনশীল দেশীয় মার্কেট, বিনিয়োগ বান্ধব আইন, সম্পদের প্রাচুর্যতা ইত্যাদির কারণে থাইল্যান্ডকে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর “সেকেন্ড হোম” হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
এবার আসা যাক ভিয়েতনাম প্রসঙ্গে। ভিয়েতনামের জনসংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ৮০ লাখ। ২০২০ সালে ভিয়েতনামের জি.ডি.পি ছিলো প্রায় ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ২০০০ সাল, ২০০৫ সাল, ২০১৫ সাল এবং ২০২০ সালে ভিয়েতনামের মাথাপিছু বাৎসরিক আয় ছিলো যথাক্রমে প্রায় ২,৫২,৬৪০ টাকা, প্রায় ৩,৩৬,২০০ টাকা, প্রায় ৫,৫০,৫০০ টাকা এবং প্রায় ৭,০১,১০০ টাকা। ১৯৯০ সাল, ২০০০ সাল, ২০১০ সাল এবং ২০২০ সালে ভিয়েতনামে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো যথাক্রমে প্রায় ১,৫৪০ কোটি টাকা প্রায় ১১,১১৫ কোটি টাকা, প্রায় ৬৮,৪০০ কোটি টাকা এবং প্রায় ১,৩৫,০৯০ কোটি টাকা। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর এবং হংকং ভিয়েতনামে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান মূলত ইলেকট্রনিক্স এবং ভারী শিল্প খাতে বিনিয়োগ করেছে। তাছাড়াও টেক্সটাইল, চামড়া শিল্পেও বৈদেশিক বিনিয়োগ রয়েছে। ২০২০ সালে ভিয়েতনাম মোট রপ্তানীর পরিমাণ ছিলো প্রায় ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। মোট রপ্তানীর প্রায় ৩৭% হলো ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি।
মালোয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের মত যদি বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় তবে নিঃসন্দেহে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরও উন্নতি ঘটবে। বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশের ভাবমূর্তি একটি বড় বিষয়। সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, প্রশস্ত রাস্তা, বিদেশী নাগরিকদের সাথে ব্যবহার ও আচরণ, রাজনৈতিক পরিবেশ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যোগাযোগ এবং সংযোগ (কানেক্টিভিটি) ঘটানো ও রক্ষার ক্ষমতা, প্রাকৃতিক পরিবেশ, সম্পদের প্রাচুর্যতা, দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত অথবা প্রশিক্ষণযোগ্য জনবল, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস ইত্যাদি বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগকারীগণের কোন দেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ইমপ্রেশন তৈরি করে যা বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পক্ষান্তরে নোংরা পরিবেশ, অব্যবস্থাপনা, জনগণের অসংযত আচরণ ও ব্যবহার ইত্যাদি কোন দেশের প্রতি নেতিবাচক ইমপ্রেশন তৈরি করে। মালোয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অবকাঠামোগত সুবিধা, উন্নত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, সহায়ক শিল্পের বিকাশ, দক্ষ এবং প্রশিক্ষণযোগ্য জনবল, বাজার সুবিধা ইত্যাদি বড় ভূমিকা পালন করেছে। মালোয়েশিয়াতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশটি শুধু মালোয়েশিয়া সম্পর্কে ইতিবাচক ভাবমূর্তির তৈরি করেনি বরং মালোয়েশিয়াতে অবস্থানের সময় বিদেশীবিনিয়োগকারীগণের বিশেষ যতœ নিয়েছে এবং সন্তুষ্ট করেছে। বিভিন্ন এজেন্সি মালোয়েশিয়াতে বৈদেশিক বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়াও করের হার হ্রাস, রপ্তানীর জন্য প্রনোদনা, বিনিয়োগের স্থান সংক্রান্ত প্রনোদনা, বিনিয়োগ বান্ধন রাজস্ব নীতি, মুদ্রা নীতি এবং বাণিজ্যনীতি প্রণয়ন, বিনিয়োগ প্রনোদনা, আমলতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস, বিভিন্ন দেশ এবং এলাকা ভিত্তিক বাণিজ্য সমঝোতা চুক্তি, স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থাপনা, রপ্তানী বৃদ্ধি সহায়ক নীতি, গ্যাস-বিদ্যুদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, স্পেশাল ইকোনোমিক জোন, গুদামজাতকরণ ও যোগাযোগের সুবিধা ইত্যাদি মালোয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীগণকে আকৃষ্ট করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীগণকে আকৃষ্ট করা-বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং এর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতি আরও দ্রæতগতিতে এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পে বিনিয়োগ করানো যায় তবে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং এর সফল বাস্তবায়ন।


ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল: অধ্যাপক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।

 

সিলেটভিউ২৪ডটকম/এফএএমএফ/এসডি-২০