ইংরেজি ম্যান শব্দটি, সরাসরি ইংরেজি ভাষা থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। কিন্তু ইংরেজি ওমেন শব্দটির উৎপত্তি, ল্যাটিন ভাষার শব্দ ফেমিনা থেকে, ইংরেজিতে যার অর্থ ওমেন, আর বাংলায়, নারী।

আমার পিএইচডি গবেষণার থিসিস ছিল - নারী-শিক্ষা, নারী-অধিকার, এবং নারীর ক্ষমতায়নের উপর। যার ফলে, এ ৩টি বিষয়ের উপরই কথা বলার, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন করার, এবং এগুলোকে স্বীকৃতি দেয়ার বিশ্ব-স্বীকৃত অধিকার আমার রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ফেমিনিজম বা নারীবাদের বিষয়টি, আমি আজীবন, নিজেই পড়িয়ে আসছি, বিশেষ করে মাস্টার্স লেভেলে। আল্লাহ পাকের শুকরিয়া, ১৯৭৭ সাল থেকে, দেশে-বিদেশে অধ্যাপনায়, আমি এবার ৪৬ বছরে ঢুকলাম।


আমি প্রথমেই বলতে চাই, ইংরেজি ম্যান শব্দ থেকে, ইংরেজি ওমেন শব্দটি আসেনি। এটা এসেছে, তার ল্যাটিন ভাষার নিজস্ব অবস্থান ফেমিনা থেকে। তাই, পুরুষ দ্বরা নারীর পরিচয় হবে, এটা কোন অবস্থায়ই মেনে নেয়া যাবে না। নারীর নিজস্ব একটা স্বকীয় বৈশিষ্ট রয়েছে, আর এ জন্যই, পুরুষের মত, নারীও সম্পূর্ণ একটি অলাদা, এবং স্বাধীন সত্বা। তাই, স্ত্রীর নামের পেছনে স্বামীর নাম লাগিয়ে, নারীর পরিচয় বেরুবে – একজন গবেষক হিসেবে, আমি এটি কখনো মানতে পারি না। মানব হিসেবে, নারীর পরিচয়,নারী নিজেই। আর, এজন্যই, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, দ্যর্থকন্ঠে লিখে গেছেন, এ পৃথিবীর সুন্দর ও মহীয়ান সবকিছুর বেলায়ই - “অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর”।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, বিশ্ব-মানবের মৌলিক যত অধিকার আছে, তাতে, নারী-পুরুষের অধিকার  সমান। যেমনঃ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, এবং চিকিৎসার সমান অধিকার, যোগ্যতা অনুযায়ী নারীর চাকুরির অধিকার, নারীর বিয়েতে স্বেচ্ছায় তার সম্মতি প্রদানের অধিকার - যাতে বাল্যবিয়ের মূলোৎপাটন হয়, সম্পত্তি অর্জন করার অধিকার, তার সম্পত্তির উপর তার স্বীয় মালিকানার অধিকার, ব্যবসায় তার নিজ অংশীদারিত্বের অধিকার, নিজের ব্যাপারে স্বীয় সিদ্ধন্ত-গ্রহণের অধিকার, শিশুর উপর মায়ের অধিকার, তার নিজ পছন্দমত ভোট প্রদানের অধিকার ইত্যাদি।

এখানে কিন্তু, আমি নিজে পুরুষ হিসেবে, আমার বরং একটু হলেও ঈর্ষা লাগছে। নারীর কতকগুলো, বা অনেকগুলো অধিকার আছে, যা পুরুষের নেই বা পুরুষের চাইতে অনেক অনেক বেশি অধিকার রয়েছে নারীর, যেমন-

১/ পুরুষকে তার নিজের বিয়ের সময়, ৫ লক্ষ/১০ লক্ষ টাকার দেন- মোহর, তার স্ত্রীকে দিতে হয় বাধ্যতামূলকভাবে, নতুবা স্ত্রী,আদালতের মাধ্যমে, তা আদায় করে নিতে পারবে। এমন কি, বিয়ের পর যে কোন কারণেই যদি, ১ দিনও ঘর-সংসার না হয়, এবং এমতাবস্থায় তালাক বা বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে বা হয়ে যায়, বা স্বামী মারা যায়, তা’হলে অর্ধেক মোহর পরিশোধ করে, তারপর স্বামীর লাশ, কবর দিতে হবে। নতুবা স্ত্রী, এ লাশ আটকে রাখতে পারে, তাকে বাধা দেয়ার, বা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে, মোহর মাফ করানোর, কারো কোন অধিকার বা  আইন নেই।

স্ত্রীর দেন-মোহর, স্বামীর উপর, অন্য যে কোন ঋণের মত, স্রেফ একটি ঋণ, কেউ কারো ঋণ মাফ করে না, এজন্য, হাজার বার মুখ দিয়ে মাফ করে দিলেও, বা জোরপূর্বক মাফ করিয়ে নিলেও, মোহর কখনো মাফ হয় না, স্ত্রী আগে, বা স্বামী আগে মারা গেলেও দেন-মোহরের কোন মাফ নেই, এটা স্ত্রীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ভিত্তি।

২/ স্ত্রী কখনো আশ্রিতা, বা, স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয় না, আজীবন স্ত্রীর ভরন-পোষন করতে, স্বামী বাধ্য। এ শর্তেই বিয়ে হয়। আর, এজন্যই, হিন্দু ধর্মে, বিয়ের আরেক নাম, ভার বহন করা।

৩/ স্ত্রী অজীবন ফ্রি, জন্মের পর থেকে বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত পিতা তার যাবতীয় দায়-ভার বহন করবেন, বিয়ের পর তার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব, তার স্বামীর উপর, আর বৃদ্ধকালে পুত্রের উপর।

 ৪/ স্ত্রীর উপার্জনের উপর, স্বামী বা তার পরিবারের, কারো কোন অধিকার নেই।
৫/ প্রত্যেক সন্তানের বেলায় একজন মা, বা স্ত্রী সবেতনে মাতৃত্বকালীন ছুটি পায়, যা স্বামী পায় না।

৬/ কোন মা যদি মনে করেন, আমি ১০ টি সন্তান নেব, তাহলে তিনি ৫ বছর স্ববেতনে ছুটি, প্রমোশন, সিনিয়রিটি সবই ঘরে বসে পাবেন, যেটা থেকে একজন পুরুষ সম্পূর্ণ বন্চিত। আর, মায়ের সবেতনে ছুটি – এটি সন্তানের অধিকার।
এবার আমি বলি, আমার দাবি কীঃ পৃথীবির অন্যান্য দেশ যা-ই করুক না কেন, বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি হবে পুরো ২ বছর, কারণ, এটাও সন্তানের অধিকার। আমার গবেষণাই আমাকে এ শিক্ষা দিয়েছে। এজন্যই, আমি একজন প্রফেসর, যার এক অর্থ, একজন পাবলিক টিচার। তা হলে দেখা যায়, নারী হওয়াটাই একটা বড় ডিগ্রি।

এবার প্রশ্ন আসতে পারে, নারী-পুরুষ উভয় কি সমান? উত্তর=না, নারী-পুরুষ কখনো সমান হয় না। যে সরকার যখন আসে, বলে, “সমান”। দুঃখজনক হলো, নারী নিজেরাও সমান হইতে চায়। কারণ, তারা নিজেরাই নিজেদের আত্মসম্মানের ব্যাপারে রীতিমত উদাসীন। পবিত্র মহা বিজ্ঞান-গ্রন্থ আল-ক্বোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, পুত্র-সন্তানের জন্ম-সংবাদ শুধুই সংবাদ, আর, কন্যা-সন্তানের জন্ম-সংবাদ সুসংবাদ; অর্থাৎ, প্রথমটি খবর, আর দ্বিতীয়টি সুখবর। অন্যদিকে, হাদিসে এসেছে, “তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে কন্য-সন্তান উত্তম” (অর্থাৎ দু’জন কখনো সমান নয়)। ইসলামি শরিয়তের দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করে নিয়েই অন্যান্য ধর্মাবলম্বিগণও বানিয়েছেন ,“ল্যাডিজ ফার্স্ট”।

অপরদিকে, নারীবাদী নারীরা কখনো পুরুষ-বিদ্বেষী হন না। তাঁরা স্ত্রীত্ব এবং মাতৃত্ব, দু’টোই চান, দু’টোই আলিঙ্গণ করেন। তবে তাঁরা  সন্তান চান, ভার্জিনিয়া উল্ফের ভাষায় “ইন টূজ এণ্ড ত্রীজ, নট ইন টেন্স এণ্ড টুয়েভ্স”। নারীবাদী নারীরা কখনো পুরুষের প্রতিদ্ন্দী নন, বরং তাঁরা পুরুষের সহযোগি। আর বস্তুবাদী নারীদের দাবী, আরো কঠোর। তাঁদের ভাষায়=পেটে সন্তান-ধারণ, ব্রেস্টফিডিং, নার্সিং=সবই হচ্ছে পেইড বা আর্থিক জব্স, যেগুলোতে পুরুষ সম্পূর্ণ অক্ষম। আর এজন্যই আগাম বাধ্যতামূলক মোহরানা, এবার স্ত্রী ১ বাচ্চা নেক, আর ১০ বাচ্চা নেক, এটা তার স্বাধীনতা, এখানে স্বামীর করার কিছু নেই।কারণ, মা হয়ে তো স্বামীর কাছ থেকে মাসে মাসে বেতন চাইতে পারে না, নারীর সুউচ্চ মর্যাদা এখানেই নিহিত। উচ্চ টাকার দেন-মোহর দিয়ে স্ত্রী আনলে স্ত্রীর মর্যাদা বেড়ে যায়, যেমন উচ্চ বেতন দিয়ে বাচ্চাকে পড়ালে, শিক্ষকের সম্মানও অধিক বাড়ে।

আমেরিকার পেনসিল্ভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, আযীযাহ আল-হীব্রি বলেন, “নারীরা পুরুষের চাইতে অধিক বলশালী, এজন্য পুরুষ নারীকে ভয় পায়, কারণ, পুরুষের না আছে সন্তান-ধারনের ক্ষমতা, আর না আছে দুগ্ধ-পান করানোর শক্তি। আল-হীব্রি-র কথা হচ্ছে, পুরুষ নারীকে ভয় পাওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো=পুরুষ জানে, সে নারীর চেয়ে অনেক অনেক দুর্বল। কারণ, একজন নারী প্রতি চান্দ্র-মাসে, যে হেভী রক্তপাত ঘটায়, অথচ মরে না, পুরুষের এমন হলে কয়জন পুরুষই বা পৃথিবীতে মাত্র ১০ মাসই বা বেঁচে থাকতে পারত?

হীব্রি আরও বলেন, নারী শুধু রক্তপাতই ঘটায় না, বরং এর মাধ্যমে সে আবারও নতুন ভাবে রিপ্রোডক্টিভ ক্যাপাসিটি বা যোগ্যতা অর্জন করে। এখানেই নারীর,সুমহান নারীত্ব। এজন্য নারীর ভয়েই, পুরুষগণ নারীর কাছ থেকে প্রোডাক্সনের শিক্ষা পেয়ে, বস্তুগত প্রোডাক্সনে আত্মনিয়োগ করেছে বেশি।

এবার দেখা যাক নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি। ভার্জিনিয়া উল্ফ বলছেন, প্রতিটি দেশে, নারী যদি ক্ষমতায় বসতে, বা থাকতে পারত, তা হলে পৃথিবীতে, যুদ্ধ-বিগ্রহ কমে যেত, এবং এক সময় থাকতই না। কারণ, কোন নারী চায় না, সে বিধবা হউক, কোন নারী চায় না, তাঁর সন্তান এতিম হউক, কোন নারী চায় না, সে পিতৃ-মাতৃ-হারা হোক, ভাই-হারা-ভগ্নি-হারা হোক, সে চায় না, কখনো তার অট্টালিকা বা বসত-ঘর এ্যাটোম-বোমায়, আর আগুনে জ্বলুক। সে সহ্য করতে পারে না রক্তপাত, পারে না সইতে মিযাইল, আর বোমার বিকট শব্দ, এমন কি, একজন সত্যিকারের ভদ্র-মহিলা কঠোর কোন বাক্য বা কথাও শুনতে চান না। ফ্রান্সে বা ফরাসি ভাষায়, একটি প্রবাদ আছে, যে পুরুষ কোন ভদ্রমহিলার সম্মুখে একটিমাত্র কটুবাক্যও উচ্চারন করে, সে ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে, আস্ত একটা অভদ্র পুরুষ।

নারী, ব্যতিক্রম ছাড়া, কোন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, হাইজ্যকিং, গুম করা, খুনা-খুনি ইত্যাদিতে জড়িত হয় না। উল্ফের গবেষণায় আমি পেয়েছি, একজন পুরুষ-সেনা, যখনই তার বুট-হেলমেট-গোলা-বারুদ-ব্যয়নেট ইত্যাদি, তার গায়ে জড়ায়, তখন সে আর মানব থাকে না, হয়ে উঠে দানব। তার পোশাকই তাকে হিংস্র এবং জংলি এক পশুতে এবং দৈত্যে পরিনত করে। এজন্যই, ভার্জিনিয়া উল্ফ কখনো সেনাবাহিনীকে মেনে নিতে পারেন নি।

আর, বিংশ শতাব্দির ঔপন্যাসিক, ডি.এইচ.লরেন্সও তা-ই বলে গেছেন। তিনি সেনা বাহিনীর সদস্যদেরকে, খুবই ঘৃণা করতেন। ভারতবর্ষে বৃটিশ-ঔপনিবেশিক রাজের কথা বলতে গিয়ে, লরেন্স আফসোস করে বলেছেন, “গোটা ভারতবর্ষের এক বিরাট জনগোষ্টি, একটা ঔপনিবেশিক খাঁচার ভেতরে বন্দী”। সমান কথাই বলে গেছেন, ই.এম.ফর্স্টার এবং জর্জ অরওয়েলও। মোট কথা, নারীর ক্ষমতায়ন হলে এ সমস্ত নিষ্ঠুরতা-নির্মমতা, ধীরে ধরে, শূন্যের কোঠায় নেমে আসত। আর, তখন, পৃথিবীটা হত সম্মিলিত মানবের শান্তির ও সহ-অবস্থানের একটি নিরাপদ ও সম্মোহনি আবাস-স্থল। ধরনীতে নিশ্চিৎ চলে আসত নিখাদ বিশ্ব-শান্তি। আমরা সেই শুভ-দিনের অপেক্ষায় রইলাম।

আর আল-ক্বোরআন নারী-রাষ্ট্র-প্রধানেরও ইংগিত দিয়েছে, যাঁর সংসদ-ভবন ছিল এ্যায়ার-টাইট, ওটার-টাইট এবং সাউণ্ড-টাইট। এ থেকে ইংগিত পাওয়া যায় যে, দেশে দেশে একসময় এরকম সংসদ-ভবনও হবে, অতএব, কিয়ামত খুব কাছে, একথা জোর দিয়ে বলার কোন সুযোগ নেই। অধিকন্তু, মহাবিজ্ঞান-গ্রণ্থ আল-ক্বোরআনে যেসমস্ত অজস্র বৈজ্ঞানিক ইশারা-নির্দেশনা এসেছে, তার প্রত্যেকটি সত্য বলে প্রমানিত না হওয়ার পূর্বে যদি কিয়ামত এসে যায়, তাহলে, আল-ক্বোরআন মিথ্যাই থেকে যাবে (নাউযু বিল্লাহ)। আল্লাহ পাকের ক্বোরআন সত্য, অতএব, যা ঘটে, তার সবকিছুই কিয়ামতের আলামত বলার কোর অবকাশ নেই, যদিও কিয়ামত আসার কোন বিশেষ এবং নির্দিষ্ট সময়ের জ্ঞান আল্লাহ পাক কোন মানবকেই দেন নি। ক্বোরআনের পরিষ্কার ঘোষণাঃ “কিয়ামতের কাল-ক্ষণ একমাত্র মহান আল্লাহ তা’লার অসীম জ্ঞানের ভেতরেই লুক্কায়িত রয়েছে”।

আমি সাহিত্যের মানুষ, আবার ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের। অন্য প্রসংগে আমি কয়েকটি কথা বলব। আমার আর একটি প্রশ্ন=সাহিত্য আর বিজ্ঞান – কোনটা আধুনিক? উত্তর=আধুনিকতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেনঃ “ আধুনিকতা কালের (কোন নির্দিষ্ট সময়ের) ব্যাপার নয়, এটি ভাবের ব্যাপার”। তাই আজকের দিনে লিখেও কোন লেখক আধুনিক না-ও হতে পারেন; আবার, খ্রীষ্ট-পূর্ব ৮ শত বছরের চারন-কবি হোমারও একজন আধুনিক কবি হিসেবে গণ্য হতে পারেন।

তাই, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগতে পারে – একবিংশ শতাব্দির কোন লেখককে আধুনিক আখ্যায়িত করলে আজ থেকে ৫ হাজার বছর পরের লেখককে কী বলতে হবে? অর্থাৎ একবিংশ শতাব্দীকে আধুনিক যুগ বললে, ৫ হাজার বছরের পরের যুগকে কী বলতে হবে? তাই, আধুনিকতাকে কখনো কোন কাল বা সময়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ করা যাবে না। এজন্য একজন লেখকের ভাব বা তাঁর লেখার আবেদনই তাঁকে হয় বানাবে আধুনিক, আর না হয়, তিনি প্রাগৈতিহাসিক কালের লেখক হিসেবেই গন্য হবেন। কেবল, একবিংশ শতাব্দীতে লেখার কারণেই তাঁকে আধুনিক বলা যাবে না।

লেখক : সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।